কেশবপুরে করোনা পরিস্থিতির ভয়াবহতার লাগাম টেনেধরা যাচ্ছেনা। গত ২৪ ঘন্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ২০ জন, হাসপাতালে ভর্তি আছেন আরও ১১ জন।
কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আলমগীর হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহতার কারণে লকডাউনের একসপ্তাহ পার হয়ে গেলেও মানুষের মাঝে নমুনা পরীক্ষার আগ্রহ কম। কিন্তু করোনা পজিটিভ এর হার বেড়েই চলেছে । হাসপাতালে গত ২৪ ঘন্টায় ৭২ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। যার মধ্যে করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে ২০ জন। আক্রান্ত ২০ জনের মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি আছে ১১ জন।
কেশবপুর উপজেলায় করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহতা রোধে লকডাউন ঘোষণা দিলেও মানুষের মাঝে স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দুরত্ব মানার বালাই নেই। প্রশাসন যতই বিধিনিষেধ মানার জন্য গুরুত্বারোপ করছেন সাধারণ জনগণ ততোই বিধিনিষেধকে তামাশা মনে করছে। শহরে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কেনা-বেচার সুযোগ পাওয়ার কারণে এমন হচ্ছে বলে অনেকেই মনেকরেন।
শহরে সারাদিন প্রশাসন-জনতার মাঝে চোর-পুলিশের খেলা চলছে। প্রশাসনের কর্মকর্তাদের শহরের বিভিন্ন সড়কে আগমণের খবর পাওয়া পর দোকান বন্ধ করে মালিকরা লুকাচ্ছে। তাঁরা চলেগেলে আবার দোকানের সার্টার খুলে বেচাকেনা করছে।
বেলা বাড়ার সাথে সাথে শহরে নারী পুরুষের মিছিল শুরু হয়ে যায়। এর মধ্যে মহিলাদের উপস্থিতির হার সবচেয়ে বেশি। গ্রাম্য হাঠবাজারে লকডাউন চরমভাবে উপেক্ষিত হচ্ছে। সন্ধ্যার পরে গ্রামের মোড়ে মোড়ে চায়ের দোকানে মানুষের মেলা বসছে । নতুন মূলগ্রাম খোত্তর পাড়ায় কয়েকটি চার দোকানের আড়ালে মাদক বেচাকেনার হাট বসছে বলে গ্রাম্যসুত্রে জানা গেছে।
এব্যাপারে কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এম এম আরাফাত হোসেন বলেন, ‘প্রতিদিন সকাল বিকাল ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে ব্যাপক হারে মামলা জরিমানা আদায় করার পরেও মানুষ সচেতন হচ্ছে না।’
খুলনা গেজেট/ এস আই