যশোর কেশবপুর আলতাপোল গ্রামের শিশু রত্না ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় আটক ইসমাইল হোসেন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। ইসমাইল একই গ্রামের কালাচাঁদ সরদারের ছেলে। রত্না আসামির সম্পর্কে নাতনি হয়। ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে শিশুকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয় বলে জানিয়েছেন ইসমাইল হোসেন। সোমবার (৪ জানুয়ারি) সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক গৌতম মল্লিক আসামির জবানবন্দি গ্রহণ শেষে কারগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।
জবানবন্দিতে ইসলামইল হোসেন জানিয়েছেন, তিনি পটুয়াখালির কলাপাড়ায় ভাংড়ির ব্যবসা করেন। মাঝেমধ্যে বাড়িতে বেড়াতে আসেন। ২০২০ সালের নভেম্বরে তিনি বাড়িতে আসেন। ২১ নভেম্বর সন্ধ্যায় তিনি পাশের বাড়িতে পিতা-মাতার সাথে দেখা করতে যান। এ বাড়িতে তার ভাগ্নে জাহিদুল স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে বসবাস করেন। পিতার সাথে দেখা করে তিনি জাহিদুলের ঘরে যান। এসময় নাতনি রত্না একা ঘরে বসে টিভি দেখছিল। তার সাথে দৃষ্টুমির এক পর্যায়ে তিনি তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। এ সময় রত্না চিৎকার দিলে মুখ চেপে ধরার কারণে সে মারা যায়। তার মৃত্যুকে ধামাচাপা দিতে ওড়না গলায় পেঁচিয়ে আড়ার সাথে ঝুলিয়ে রেখে পালিয়ে যায় ইসমাইল। পরে সে কিছু জানেনা এমন ভান করে সকলের সাথে থেকে রত্নার লাশ দাফন করে। এরপর সে আবার কলাপাড়ায় চলে যায় বলে জবানবন্দিতে জানিয়েছে।
এদিকে, এ ঘটনায় কেশবপুর থানায় প্রথমে অপমৃত্যু মামলা হয়। মামলাটি তদন্ত শুরু করে যশোরের পিবিআই। ময়না তদন্ত রিপোর্টে শ্বাসরোধে হত্যার বিষয় আসায় নিহত রত্নার পিতা জাহিদুল ইসলাম কেশবপুর থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় পিবিআই’র এসআই স্নেহাশিস দাস। তিনি হত্যার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ইসমাইল হোসেনকে আটক করে সোমবার আদালতে সোপর্দ করেন। এরপর তিনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
খুলনা গেজেট/এমএম