কেশবপুরে যৌতুকের দাবিতে এক সন্তানের জননীকে পিটিয়ে জখম করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালে উপজেলার মজিদপুর ইউনিয়নের শিকারপুর গ্রামের দিনমজুর জিয়াউর রহমানের মেয়ে মাহফুজা খাতুনের সাথে একই ইউনিয়নের শ্রীফলা গ্রামের রফিকুল সরদারের ছেলে রাসেলের বিয়ে হয়। বিয়েতে যৌতুক হিসেবে নগদ ৬০ হাজার টাকা, গরু, ছাগলসহ প্রায় ৩ লাখ টাকার মালামাল দেয়া হয়। দাম্পত্য জীবনে তাদের ঘরে জাকারিয়া হোসেন (১) নামের একটি পুত্র সন্তান জন্ম নেয়। বিয়ের পর থেকে বিভিন্ন সময়ে আরও ৩ লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে রাসেল ও তার পরিবার মাহফুজা খাতুনের ওপর শারিরীক ও মানসিক নির্যাতন চালাতে থাকে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মাহফুজা খাতুন সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন, এক বছর আগে তার স্বামী রাসেল আমার বাবার কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা ধার করে নিয়ে আসে। দীর্ঘদিনেও টাকা ফেরৎ না দেয়ায় আমি টাকা ফেরতের কথা বলি। এরই জের ধরে গত শুক্রবার বিকেলে আমার স্বামী রাসেল, শ্বশুর রফিকুল সরদার, শাশুড়ি ছলেয়া বেগম আমাকে এলোপাতাড়িভাবে মারপিট করে এক বস্ত্রে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। খবর পেয়ে আমার বাবা আমাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এরপর থেকে আমি দরিদ্র পিতার অর্থে হাসপাতালে চিকিৎসা নিলেও আমার স্বামী ফিরেও তাকায়নি। এ ব্যাপারে থানায় অভিযোগ দেয়ার প্রস্তুতি চলছিল।