কেশবপুরে বন্যার পানি কমতে শুরু করলেও বিভিন্ন সড়ক ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এসব এলাকার অনেক গ্রামীণ রাস্তাঘাট এখনও পানির নিচে থাকায় জনগণকে প্রয়োজনীয় যোগাযোগে বেগ পেতে হচ্ছে। প্রায় তিন মাস পর অনেক রাস্তার পানি নেমে গেলেও তাতে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে এলাকার জনগণকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এবারের বন্যায় এ উপজেলার বিভিন্ন সড়ক নষ্ট হয়ে কোটি কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। দ্রুত রাস্তা সংস্কার করা না হলে রাস্তা আরও বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হবে বলে উপজেলা প্রকৌশল দপ্তর সূত্রে জানা গেছে। অতিবৃষ্টি ও নদনদীর উপচে পড়া পানিতে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
এলাকাবাসী ও প্রকৌশল দপ্তর জানায়, গত জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত টানা বৃষ্টিতে কেশবপুরের পৌরসভাসহ ১১টি ইউনিয়নের ১১৪ গ্রাম প্লাবিত হয়। সেই সাথে প্লাবিত হয় ২৫ থেকে ৩০টি গুরুত্বপূর্ণ পিচ ও ইটের সোলিং রাস্তা। এছাড়া অধিকাংশ বিলের মধ্যে দিয়ে যে সব রাস্তা আছে তা এখনও পানির নিচে রয়েছে। ঘেরের পানির ঢেউ ও যাতায়াতের কারণে এসব রাস্তা ধ্বসে নষ্ট হয়ে গেছে। মাছের ঘের মালিকদের রাস্তার পাশে ৬ ফুট বাঁধ দিয়ে ঘেরের বেঁড়ি করার শর্ত থাকলেও তা তারা মানছে না। যে কারণে রাস্তাগুলো নষ্ট হয়ে জনগণের চলাচলের অনুপযোগি হয়ে পড়েছে। এসব রাস্তার মধ্যে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে ব্যস্ততম জনবহুল কেশবপুর-কলাগাছি সড়ক, কেশবপুর-ভান্ডারখোলা সড়ক, মঙ্গলকোট-হিজলডাঙ্গা সড়ক, মঙ্গলকোট পাঁজিয়া ভায়া মঙ্গলকোট বাজার সড়ক, তেঘরি-পরচক্রা বাজার সড়ক, ব্যাসডাঙ্গা-খতিয়াখালি সড়ক, রামচন্দ্রপুর-ফকিরবাড়ি সড়ক, বালিয়াডাঙ্গা-মাগুরাডাঙ্গা সড়ক ও কন্দর্পপুর ভায়া বংশির বটতলা সড়ক। এসব সড়কের অধিকাংশ স্থান পানিতে তলিয়ে ৫ দশমিক ৮৬ কিলোমিটার সড়ক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। রাস্তায় বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় ভারী যানবাহন চলাচল করতে পারছে না। এতে দেখা দিয়েছে চরম দুর্ভোগ। এ ছাড়া দ্রুত রাস্তা সংস্কার করা না হলে রাস্তা আরও বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়বে।
উপজেলা প্রকৌশলী মো. নাজিমুল হক বলেন, কেশবপুর উপজেলা ভবদহ প্রকল্পের অন্তর্গত। অতিবৃষ্টিজনিত কারণে অধিকাংশ গ্রাম প্লাবিত হয়। তালিয়ে যায় অধিকাংশ রাস্তা। এখনও অনেক রাস্তা পানির নিচে রয়েছে। এ উপজেলায় ২৫ থেকে ৩০টি গুরুত্বপূর্ণ পিচ ও ইটের সোলিং রাস্তা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ রাস্তার তালিকা করে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে প্রেরণ করা হয়েছে। বরাদ্দ পেলেই কাজ শুরু করা হবে।
খুলনা গেজেট/এনএম