যশোরের কেশবপুরে নরসুন্দর চঞ্চল দাস হত্যা মামলায় দু’জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দিয়েছে পুলিশ। একইসাথে তদন্তে হত্যার সাথে সম্পৃক্ততা না পাওয়ায় একজনকে অব্যাহতির আবেদন করা হয়েছে। মামলার তদন্ত শেষে আদালতে এ চার্জশিট জমা দিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মিজানুর রহমান। মামলায় অভিযুক্তরা হলেন, উপজেলার মজিদপুর গ্রামের আনন্দ দাসের ছেলে সুদেব দাস ও পিন্টু দাসের ছেলে সুমন দাস।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, চঞ্চল দাস পেশায় নরসুন্দর। চলতি বছরের ৩০ জুন সন্ধ্যায় চঞ্চলের মোবাইলে একটি কল আসে। এ ফোন পেয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায় চঞ্চল। হঠাৎ রাত নয়টার পর প্রতিবেশি বিকাশের বাড়িতে হৈচৈ শুনে চঞ্চলের পিতা গিয়ে দেখেন তার ছেলে রক্তাক্ত জখম অবস্থায় বিকাশের উঠানে ছটফট করছে। চঞ্চলের গলা ও পেট কাটা অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে কেশবপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। এখানে অবস্থার অবনতি হলে খুলনায় নেয়ার পথে রাত ১১ টার দিকে চঞ্চল মারা যায়। এ ব্যপারে নিহত চঞ্চলের বাবা কার্তিক দাস বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে কেশবপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হত্যার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে আনন্দ দাস ও তার ছেলে সুদেব দাস এবং পিন্টু দাসের ছেলে সুমন দাসকে আটক করেন। সুদেবের বোনকে উত্যক্ত করতে নিষেধ করা সত্তেও চঞ্চল কর্ণপাত না করায় পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করা হয়েছিল বলে তারা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেয়। আসামিদের দেয়া জবানবন্দি ও সাক্ষীদের বক্তব্যে হত্যার সাথে জড়িত থাকায় সুদেব ও সুমন দাসকে অভিযুক্ত করে শনিবার আদালতে এ চার্জশিট জমা দিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। হত্যার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ না পাওয়ায় অভিযুক্ত সুদেব দাসের পিতা সুমন দাসকে অব্যাহতির আবেদন করা হয়েছে।
খুলনা গেজেট/ টি আই