কেশবপুরে মজিদপুর গ্রামের ঋষি পল্লীতে কলেজ পড়ুয়া যুবক চঞ্চল কুমার দাস (২০) কে গলা কেটে হত্যার ঘটনায় কেশবপুর থানায় মামলা হয়েছে। থানা পুলিশ ৩ জন আসামিকে আটক করে জেল হাজতে পাঠিয়েছে।
জানাগেছে কেশবপুর উপজেলার মজিদপুর গ্রামের ঋষি পল্লীর আনন্দ কুমার দাসের সাথে প্রতিবেশী কার্তিক চন্দ্র দাসের ছেলে চঞ্চল কুমার দাস (২০) এর মধ্যে নারীঘটিত একটি বিষয় নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। তারই জের ধরে গত বৃহস্পতিবার রাতে কার্তিক চন্দ্র দাসের কলেজ পড়ুয়া ছেলে নরসুন্দর কর্মী চঞ্চল কুমার দাস কে মজিদপুর মাঠের মধ্যে নিয়ে তাকে গলা ও পেট কেটে গুরুতর জখম করে আহত করে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। পরে এলাকাবাসী তাকে আশংকাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে চুকনগর বাজারে পৌছানোর পর তার মৃত্যু হয়েছে।
উক্ত হত্যার ঘটনায় নিহতের পিতা কার্তিক চন্দ্র দাস বাদী হয়ে আনন্দ কুমার দাস (৫০) ও তার ছেলে সুদের কুমার দাস (২৫) সহ আরো অজ্ঞাত ১০/১২ জনকে আসামি উল্লেখ করে কেশবপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে। যার নং- ০১ তারিখ ০২/০৭/২০২২।
মামলার তদন্তকারী পুলিশ ইন্সপেক্টর মোঃ আবুবক্কর জানান মামলার তদন্তের স্বার্থে এই মূহুর্তে আসামিদের সংখ্যা ও নাম গোপন রাখা প্রয়োজন। তবে ওই মামলায় প্রতিবেশী আনন্দ কুমার দাস (৫০), তার ছেলে সুদের কুমার দাস (২০) ও একই এলাকার সুমন কুমার দাস (১৮) কে আটক করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। বাকী আসামীদের গ্রেফতারের জন্যে অভিযান অব্যহত রয়েছে। ছোরা ও মোবাইল ফোন উদ্ধার হয়েছে।
খুলনা গেজেট / আ হ আ