যশোরের কেশবপুর উপজেলায় বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান চালিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। এসময় বিতর্কিত কেশবপুর সার্জিক্যাল ও মাতৃমঙ্গল ক্লিনিক সিলগালা করা হয়। রোববার দুপুরে সিভিল সার্জন বিপ্লব কান্তি বিশ্বাসের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়।
সিভিল সার্জন অফিস সূত্র জানায়, অভিযান চলাকালে কেশবপুর সার্জিক্যাল ও মাতৃমঙ্গল ডায়াগনস্টিক কর্তৃপক্ষ অনুমোদনের কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। এসব প্রতিষ্ঠানে চিকিৎসা তো দূরের কথা, নিবন্ধিত কোনো সেবিকাও ছিল না। নোংরা প্যাথলজি কক্ষে টেকনোলজিস্ট হিসেবে যারা ছিলেন তাদেরও কোনো অ্যাকাডেমিক স্বীকৃতি নেই। অথচ তারা দিব্যি রোগীদের প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ভুয়া রিপোর্ট প্রদান করছেন। এসব কারণে স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান দু’টি বন্ধ করা হয়।
এ ব্যাপারে সিভিল সার্জন বিপ্লব কান্তি বিশ্বাস জানান, ছয় মাস আগে এই সব স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করা হয়। কিন্তু এতোদিনেও তারা কোনো নিয়মের ভেতরে আসেনি। এসব কারণে কেশবপুরের দুটি ক্লিনিক বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। বেসরকারি ডায়াগনস্টিক বা হাসপাতাল পরিচালনা করতে গেলে বিধি মোতাবেক ৩৬ ধরনের চিকিৎসা সংক্রান্ত যন্ত্রপাতি থাকতে হবে। তিন-চারটি ছাড়া বলতে গেলে এসবের কিছুই নেই ওই দুটি ডায়াগনস্টিকে। অনুমোদনহীন এমন প্রতিষ্ঠান বন্ধে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের এ অভিযান চলমান থাকবে। বৈধ কাগজপত্র ছাড়া কোনো স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান চলতে দেয়া হবে না।
অভিযানে উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি সিভিল সার্জন নাজমুস সাদিক রাসেল ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা আরিফুজ্জামান।
উল্লেখ্য, গত ৬ আগস্ট কেশবপুর সার্জিক্যাল ক্লিনিকে ভুল অপারেশনে সীমা খাতুন (২৫) নামে এক প্রসূতির মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় এলাকাবাসী বিক্ষোভ করে ক্লিনিক বন্ধের দাবি জানায়। পরবর্তীতে স্বাস্থ্য বিভাগ অভিযান চালিয়ে ক্লিনিক দুটি সিলগালা করেছে।
খুলনা গেজেট / আ হ আ