যশোরের কেশবপুর উপজেলার পাঁজিয়া ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার খলিলের বিরুদ্ধে সরকারি ঘর দেওয়ার কথা বলে প্রতারণা করে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও থানার অফিসার ইনচার্জ বরাবর পৃথক পৃথক লিখিত অভিযোগে জানা গেছে, কেশবপুর উপজেলার পাঁজিয়া ইউনিয়নের বেলকাটি গ্রামের হেলাল উদ্দিন বিশ্বাসের স্ত্রী জয়নাব বেগম (৪৫) ও তার মাতা রাজিয়া বেগম (৬০) ঘরবাড়ি হারা দুইটি অসহায় পরিবার। বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহারের পাঁকাঘর দেওয়ার কথা বলে পাঁজিয়া ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের মেম্বার খলিলুর রহমান তাদের মা ও মেয়ের নিকট হতে ২০২০ সালে ৩০ হাজার টাকা করে ৬০ হাজার টাকা গ্রহণ করে। ইতোমধ্যে কেশবপুর উপজেলায় ১১০ টি ও পাঁজিয়া ইউনিয়নে ৪৪ টি ঘর দেওয়া হলেও তাদেরকে কোনো পাঁকাঘর দেওয়া হয়নি। যার কারণে গত ১১ আগষ্ট সকালে মেম্বারের বিড়িতে যেয়ে মা রাজিয়া বেগম ও মেয়ে জয়নাব বেগম মেম্বার খলিলের নিকট হতে টাকা ফেরত চায়। মেম্বার তাদের টাকা ফেরত না দিয়ে তাদেরকে বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি, ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণনাশের হুমকি প্রদানসহ তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করার হুমকি দিয়ে অপমান করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়।
এব্যাপারে জয়নাব বেগম গত ১৭ আগষ্ট মেম্বারের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর ও আজ ১৯ আগষ্ট কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ বরাবর পৃথক পৃথক লিখিত অভিযোগ করেন।
এ ব্যাপারে ইউপি মেম্বার খলিলুর রহমানের সাথে মুঠো ফোনে আলাপ কালে তিনি জানান, আমি ঘর দেওয়ার কথা বলে কারো নিকট থেকে টাকা নেয়নি। আমার এলাকার ইউপি নির্বাচনি প্রতিপক্ষরা ষড়যন্ত্র করে তাদেরকে দিয়ে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করে আমার ভাবমূর্তি ও সুনাম নষ্ট করার চেষ্টা করছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এম এম আরাফাত হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, এমন একটি অভিযোগ পেয়েছি যা তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জকে প্রেরণ করা হয়েছে।
খুলনা গেজেট/ টি আই