কেডিএ-এর চেয়ারম্যান বরাবরে প্রধান প্রকৌশলী কাজী মোঃ সাবিরুল আলমের নিকট বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার বেলা ১২টায় ‘খুলনার আঞ্চলিক উন্নয়নে খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (কেডিএ) স্থবিরতা, অপরিকল্পিত প্রকল্প গ্রহণ বন্ধ, উন্নয়ন প্রকল্পে গতিহীনতা, প্রকল্প বাস্তবায়নের নামে জনভোগান্তি দূর করাসহ বিভিন্ন দাবি’তে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, কেডিএ’র তৈরি আবাসিক ও বাণিজ্যিক এলাকাগুলোও নির্মাণ করা হয়েছে অপরিকল্পিতভাবে। সোনাডাঙ্গা ও নিরালা আবাসিক এলাকার গৃহস্থালী বর্জ্য ফেলার ব্যবস্থা রাখা হয়নি। কেডিএ এভিনিউ, এম এ বারী সড়ক, মুজগুন্নী মহাসড়কের দু’পাশে বাণিজ্যিক প্লট তৈরি করলেও এর পেছনের বিশাল এলাকার মানুষের মূল সড়কে আসার জন্য কোনো সংযোগ সড়ক তৈরি করেনি। দৌলতপুর কেডিএর কল্পতরু মার্কেট দীর্ঘ বছরেও চালু করা যায়নি। এখন সেখানে গরু চরে, রূপসা কেডিএ মার্কেটের অবস্থা জরাজীর্ণ এবং নিউ মার্কেটের পিছনের সড়কটি ভাঙাচোরা। ২০০০ সালের পরে কেডিএ যে সংযোগ সড়কগুলো করেছে তা এখন মানুষের গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সড়কে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করায় বছর দুয়েকের মধ্যে দু’টি সড়কই চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।
খুলনার উন্নয়নে কেডিএ খুলনার আরেকটি সেবামূলক জনপ্রতিনিধিত্বশীল প্রতিষ্ঠান খুলনা সিটি করপোরেশনের (কেসিসি) সঙ্গে কাজের সমন্বয় হচ্ছে না বলে অভিযোগ রয়েছে। এই সমন্বয়হীনতা খুলনার উন্নয়নের একটি অন্তরায়। খুলনায় অপরিকল্পিত নগরায়ন হচ্ছে। পরিকল্পিত রাস্তা-নালা ছাড়াই যেখানে-সেখানে ভবন উঠছে। খুলনায় এ মুহূর্তে দরকার আগামী ১০০ বছরের বিশদ এলাকা পরিকল্পনাসহ একটি মাস্টার প্লান করে জনসম্মুখে প্রকাশ করা। আধুনিক ও পরিকল্পিত নগর নির্মাণে ১৯৬১ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে খুলনার উন্নয়নে কেডিএ বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে ব্যাপক ভূমিকা রেখেছে। কিন্তু, গত দু’দশকে খুলনার উন্নয়নে কেডিএ’র উন্নয়ন কাজ মুখ-থুবড়ে পড়েছে, দৃশ্যমান বড় কোনো উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ শুরু করতে পারেনি। উন্নয়ন কর্মকান্ডে দেখা দিয়েছে স্থবিরতা, দীর্ঘসূত্রিতা ও নানা অনিয়ম। এছাড়া খুলনায় কৃষিজ ভিলেজ লাইফ স্টক এলাকা নির্মাণের দাবি জানানো হয়।
এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন কমিটির মহাসচিব প্রাণিপ্রেমী এস এম সোহরাব হোসেন, সহ-সভাপতি অরবিন্দ সাহা, যুগ্ম মহাসচিব মহেন্দ্র নাথ সেন, শেখ আব্দুল হালিম, শেখ মোঃ আবু সুফিয়ান, প্রচার সম্পাদক শেখ আইনুল হক, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক আব্দুল খালেক সিকদার, নির্বাহী সদস্য এস এম কামরুল ইসলাম, আহম্মদ আলী খান, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ হাসমত আলী, মোঃ আব্দুস সবুর, মুন্সী আহম্মদ হোসেন, শামসুর রহমান বাবুল, তপন পাল, শাহ জাফর মাহমুদ মেহেতা, সরদার মোশাররফ হোসেন, মোঃ আব্দুর রাজ্জাক, মোঃ রানা তালুকদার, এস এম কামাল হোসেন, মোঃ সজল শেখ, মিরাজ হোসেন হৃদয়, মোঃ রিজভী, ইমন খলিফা, মোঃ শাহেন শাহ, মোঃ ফজলুর রহমান, সোহাগ মল্লিক প্রমুখ।
খুলনা গেজেট/এনএম