বাংলাদেশ ফুটবল দলের ভিসা জটিলতা অনেকটাই নিরসন হয়েছে। বাংলাদেশ সময় আজ মধ্যরাত আড়াইটায় (সৌদি সময় সাড়ে এগারোটা) জামাল ভূঁইয়ারা কুয়েতের ভিসা পেয়েছেন। খেলোয়াড়, কোচিং স্টাফ কর্মকর্তা মিলিয়ে কন্টিনজেন্টের সংখ্যা ৩৫ জনের অধিক। এর মধ্যে ২/৩ জন খেলোয়াড় বাদে বাকি সবার কুয়েতের ভিসা হয়েছে।
সৌদি সময় দুপুর ১২টায় কুয়েতে ফ্লাইট ধরবে বাংলাদেশ। সৌদির তায়েফ শহর থেকে জেদ্দা বিমানবন্দর প্রায় তিন ঘণ্টার পথ। বাংলাদেশ দল অল্প সময়ের মধ্যে হোটেল ছেড়ে বিমানবন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা হবে। হোটেল ছাড়ার আগ পর্যন্ত ভিসা না পাওয়া ফুটবলারদের জন্য চেষ্টা করবে বাফুফে। তারপরও না পেলে তাদের সৌদি রেখে বাকিরা কুয়েতে রওনা হবে নির্দিষ্ট সময়ে।
বিশ্বকাপ বাছাইয়ে বাংলাদেশের পরবর্তী ম্যাচ ২১ মার্চ ফিলিস্তিনের বিপক্ষে। যুদ্ধ পরিস্থিতির জন্য ফিলিস্তিনের হোম ম্যাচ কুয়েতে অনুষ্ঠিত হবে। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর ফুটবল ফেডারেশনই সফরকারী দেশের ভিসার কাজ সম্পন্ন করে থাকে। সেই মোতাবেক বাফুফে বাংলাদেশ দলের তালিকা অনেক আগেই কুয়েত ফুটবল ফেডারেশনকে পাঠিয়েছে।
১৫ ঘণ্টা পর ফ্লাইট, মেলেনি ভিসা, নানা শঙ্কায় বাফুফে
সুদান ম্যাচ দিয়ে ফিলিস্তিনের প্রস্তুতি নিলো বাংলাদেশ
এরপরও ভিসা নিয়ে বেশ ভোগান্তির মধ্যে পড়েছিল বাংলাদেশ। বাফুফে সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসনে তুষার বলেন, অবশেষে আমরা ভিসা পেয়েছি। ২-৩ জনের এখনো বাকি আছে। কুয়েত ফেডারেশন তাদেরটাও যোগাড়ের সর্বাত্মক চেষ্টা করছে।
ভিসা না পেলে বাংলাদেশ দল অনেক বিড়ম্বনায় পড়তো। টিকিট বাতিলে আর্থিক ক্ষতির চেয়েও বড় বিষয় হতো ৩৫ জনের অধিক টিকিট একই ফ্লাইটে পাওয়া। কুয়েতের হোটেল বুকিং ছিল। না পৌঁছালে বাংলাদেশ দলের বুকিং করা হোটেলের অর্থও গচ্চা যেত।
ভিসা-আবাসন জটিলতা অবশ্য নতুন নয় বাংলাদেশ ফুটবলে। বছর দুই আগে ভ্যাকসিন জটিলতায় বাংলাদেশ দলের ইন্দোনেশিয়া সফর বাতিল হয়েছিল। আগের বিশ্বকাপ প্রাক বাছাইয়ে লাওসের বিপক্ষে খেলায় ভিসা নিয়ে জটিলতা হয়েছিল। বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর বাংলাদেশ দল ভিসা পেয়েছিল।
বিশ্বকাপ বাছাইয়ের প্রস্তুতির জন্য বাংলাদেশ সৌদি আরবে অবস্থান করছে ২ মার্চ থেকে। সৌদি আরবে দুই সপ্তাহের বেশি অনুশীলনে সুদানের বিপক্ষে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচও খেলেছে বাংলাদেশ।
খুলনা গেজেট/এনএম