খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববদ্যালয় (কুয়েট) এর ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মিহির রঞ্জন হালদার বলেন, “বিজয়ের পূর্ব মুহূর্তে বুদ্ধিজীবী হত্য বাংলাদেশের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি। বাংলাদেশের বিজয় যখন খুব কাছে ঠিক সেই সময়ই নীল নকশা করে গোপনে বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করা হয়। জাতিকে নেতৃত্ব শুণ্য করতেই পাক বাহিনী রাজাকার, আলবদর, আলশামসসহ তাদের এদেশীয় দোষরদের সাথে নিয়ে বুদ্ধিজীবীদের বেছে বেছে হত্যা করে। দেশ যাতে সহজে মাথা উঁচু করে দাড়াতে না পারে এজন্যই তারা একাজটি করেছিলো”। ১৪ ডিসেম্বর বুধবার শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস ২০২২ পালন উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির আলোচনায় তিনি একথা বলেন।
সকাল ১১টায় অডিটরিয়ামে শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহনে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. সোবহান মিয়া, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. মোঃ সাইফুল ইসলাম, ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. মোঃ শাহজাহান, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডীন প্রফেসর ড. এ এন এম মিজানুর রহমান।
আালোচনা সভায় পরিচালক (ছাত্র-কল্যাণ) প্রফেসর ড. মোঃ আব্দুল মতিন এর সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. মোঃ হেলাল-আন-নাহিয়ান, সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. মোঃ আব্দুল হাসিব, পরিচালক (গবেষনা ও সম্প্রসারণ) প্রফেসর ড. শিবেন্দ্র শেখর শিকদার, আরবান এন্ড রিজিওনাল প্ল্যানিং বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ড. মোঃ মোস্তফা সারোয়ার, আন্ত: বিশ্বিবদ্যালয় অফিসার্স ফেডারেশনের সহ-সভাপতি প্রকৌশলী হুসাইন মোহাম্মদ এরশাদ, অফিসার্স এসোসিয়েশনের সহ-সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী মোঃ রুমেন রায়হান, কর্মকর্তা সমিতির (আপগ্রেডেশন) সভাপতি মোঃ সাজ্জাদ হোসেন, কর্মচারী সমিতির সভাপতি মোঃ ইমদাদুল হক, মাস্টাররোল কর্মচারী সমিতির সভাপতি মোঃ শামীম রেজা। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন জনসংযোগ ও তথ্য শাখার সহকারী পরিচালক মনোজ কুমার মজুমদার।
কুয়েটে শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষ্যে সকাল সাড়ে ১০টায় বিশ্বিবদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে শোক র্যালি অনুষ্ঠিত হয়। শোক র্যালিতে নেতৃত্ব দেন বিশ^বিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মিহির রঞ্জন হালদার।কুয়েটে শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষ্যে অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে ১৪ ডিসেম্বর সূর্যোদয়ের সাথে সাথে প্রশাসনিক ভবন, ভাইস-চ্যান্সেলর মহোদয়ের বাসভবন এবং আবাসিক হলসমূহে জাতীয় পতাকা (অর্ধনমিত) এবং কালো পতাকা উত্তোলন করা হয়,বাদ আসর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে দোয়া অনুষ্ঠান এবং সন্ধ্যা ৬টায় আলোর মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
খুলনা গেজেট/ বিএমএস