খুলনা, বাংলাদেশ | ২৪ আশ্বিন, ১৪৩১ | ৯ অক্টোবর, ২০২৪

Breaking News

  ইউনিয়ন ব্যাংকের এমডি মোকাম্মেল ও তার স্ত্রীর ব্যাংক হিসাব জব্দ
  সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে নতুন নিয়োগ পাওয়া ২৩ বিচারপতি শপথ নিয়েছেন
  এনআইডির তথ্য ফাঁসের ঘটনায় সজীব ওয়াজেদ জয় ও জুনাইদ আহমেদ পলকসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে সাইবার নিরাপত্তা আইনে কাফরুল থানায় মামলা

কুল চাষে আগ্রহ হারাচ্ছে ডুমুরিয়ার কৃষকরা

গাজী আব্দুল কুদ্দুস, ডুমুরিয়া

খুলনার ডুমুরিয়ায় অসময়ে ঝড়-বৃষ্টি, বাজার দর কম ও সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে কুল চাষে আগ্রহ হারাচ্ছেন কৃষকরা। লোকসানের ঘানি টানতে হিমশিম খেতে হচ্ছে চাষীদের।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে উপজেলায় ১শত হেক্টর জমিতে বাণিজ্যিকভাবে কুল চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এরমধ্যে শোভনা ব্লকে সবচেয়ে বেশি কুল চাষ করা হয়েছে। ফলন ভালো হলে প্রতি হেক্টরে ৮ মেট্রিক টন কুল উৎপাদন হয়ে থাকে। আশির দশকে এ অঞ্চলে কুল চাষ শুরু হয়। সে সময় শখের বশে প্রতি বাড়িতে দু’একটা কুল গাছ দেখা যেত। পরবর্তীতে বাজারে এর চাহিদা দেখে এবং এটি একটি লাভজনক ফসল জেনে প্রথমে শোভনা পশ্চিম পাড়ার প্রয়াত যশোর আলী খান ওরফে চেনিখান বাণিজ্যিকভাবে কুল চাষ করে সাফল্য লাভ করেন।
পরে এলাকার খালেক মোল্লা, আলমগীর মোড়ল, ইনতাজ খান, হারুন শেখ, ওয়াদুদ সরদার, কিশোর মন্ডল, সাত্তার খানসহ অনেকেই কুল চাষে ঝুঁকে পড়েন। উঁচু জমিতে ও মৎস্য ঘেরের ভেড়িতে ব্যাপকভাবে চাষ শুরু করেন। প্রতিদিন ব্যাপারিরা এ এলাকার কুল শোভনা বটতলা মোড়, আড়ুয়াখালী, বালুইঝাকি, বড়বিল ওয়াপদা মোড় থেকে ৪/৫টি পিকআপ বোঝাই করে খুলনা, ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় যায়। কিন্তু সম্প্রতি কুলের বাজারে চাহিদা কম ও দর কম থাকায় উৎপাদন খরচও উঠছে না চাষীদের।
সরেজমিনে গিয়ে কথা হয় শোভনা পশ্চিম পাড়া এলাকার কুলচাষী আলমগীর মোড়লের সাথে। তিনি বলেন, আমি ৩ একর জমিতে ২২০টি দেশীয় জাতের কুল ও ১২০টি আপেল কুল চাষ করেছি ফলন ও খুব ভালো হয়েছে। এ পর্যন্ত আমার সার কীটনাশক,সেচ ও শ্রমিক খরচ দাঁড়িয়েছে প্রায় দুই লাখ টাকা। কিন্তু গত ২/৩ বছর ধরে বাজারে এর চাহিদা খুবই কম ও দর কম থাকায় উৎপাদন খরচ ও উঠছে না।এমন অভিযোগ ইনতাজ খান, হারুন শেখ, ওয়াদুদ সরদার সহ অনেকের।তারা আরও বলেন গত সপ্তাহে ঝড়বৃষ্টির কারণে গাছের অনেক ফল ঝরে গেছে। তাছাড়া এখন মাত্র ২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি। কিন্তু মার্কেটে ব্যাপারিরা প্রতি কেজি ৮০/৯০ টাকা খুচরা বিক্রি করছে। মার্কেটিং ব্যবস্থা ভাল না থাকায় এবং সরকারের পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে আমাদের কুল চাষে আগ্রহ থাকছে না।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ মোছাদ্দেক হোসেন জানান, এবছর কুলের দাম কম থাকায় কুল চাষীদের ক্ষতি হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
খুলনা গেজেট/ টি আই




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!