খুলনা, বাংলাদেশ | ৬ কার্তিক, ১৪৩১ | ২২ অক্টোবর, ২০২৪

Breaking News

  খা‌লিশপু‌রের হা‌সিবুর হত্যায় ২১ জনের যাবজ্জীবন, খালাস ৫

কা‌শেম হত্যা মামলায় তা‌রে‌কের মৃত্যুদন্ড, বা‌কিরা খালাস (ভিডিও)

নিজস্ব প্রতিবেদক

খুলনার আলোচিত মহানগর জাতীয় পার্টির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং শিল্প ও বনিক সমিতির সাবেক সভাপতি শেখ আবুল কাশেম হত্যা মামলায় পলাতক আসা‌মি তা‌রেক‌কে মৃত‌্যুদন্ড দিয়েছেন আদালত। অন‌্য আসা‌মি‌দের বিরু‌দ্ধে অ‌ভি‌যোগ স‌ন্দেহাতীতভা‌বে প্রমা‌ণিত না হওয়ায় তা‌দের খালাস দেয়া হ‌য়ে‌ছে। খালাসপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন তরিকুল হুদা টপি, আব্দুল গফফার বিশ্বাস, ওসিকুর রহমান, মুশফিকুর রহমান, মফিজুর রহমান ও মিল্টন।

আজ সোমবার ‌বেলা সা‌ড়ে ১১ টায় খুলনা জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোঃ সাইফুজ্জামান হিরো এ রায় ঘোষণা করেন। এসময় আসামি তা‌রেক আদালতে উপস্থিত ছিল না। দীর্ঘ ২৬ বছর পর চাঞ্চল্যকর এই হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করা হলো।

রায়কে কেন্দ্র ক‌রে আদালত পাড়ায় ছিল কৌতুহলী মানু‌ষের ভিড়। আদালত পাড়ায় নিরাপত্তা নি‌শ্চিত করার জন‌্য অ‌তি‌রিক্ত পু‌লিশ মোতা‌য়েন করা হ‌য়। প্রবেশ মু‌খে বসা‌নো হয় চেক‌পোষ্ট।

 

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯৫ সালের ২৫ এপ্রিল দুপুর পৌনে ২ টার দিকে শেখ আবুল কাশেম তার ব্যক্তিগত গাড়ি, (যার নং ০৩-৪৩৭৩) করে নগরীর স্যার ইকবাল রোডস্থ পিকচার প্যালেস মোড় বেসিক ব্যাংকের ম্যানেজারের সাথে দেখা করতে যান। সাক্ষাত শেষে বাড়ির উদেশ্যে পুনরায় গাড়িতে উঠে বসেন। এসময় ৫ থেকে ৬ জন অজ্ঞাতনামা সন্ত্রাসী প্রথমে তার ড্রাইভার মিকাইল হোসেনকে গুলি করলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। পরে গাড়ির পিছনের গ্লাস ভেঙ্গে কাটা রাইফেল দিয়ে শেখ আবুল কাশেমকে গুলি করে হত্যা করা হয়। মৃত্যু নিশ্চিত ভেবে সন্ত্রাসীরা এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়তে ছুড়তে পিকচার প্যালেস মোড় দিকে বীরদর্পে হেটে যায়। ওই ঘটনার পর নিহতের পরিবারের লোকজন এসে তাকে গরিব নেওয়াজ ক্লিনিকে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক বেশ কিছুক্ষণ পর তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে ওই ঘটনায় নিহতের ভাইয়ের জামাই মোঃ আলমঙ্গীর হোসেন খুলনা থানায় মামলা দায়ের করেন, যার নং ৩৫।

মামলাটি প্রথমে খুলনা থানায় দায়ের করা হলেও পরে এটি তদন্ত করে সিআইডি। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এ মামলায় ১০ জনকে আসামি করে ১৯৯৬ সালের ৫ মে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলার বিচারাধীন সময়ে দু’জন আসামির মৃত্যু হয়। তারা হলো সৈয়দ মনিরুল ইসলাম ও খুলনা সিটি কর্পোরেশনের সাবেক ডেপুটি মেয়র ইকতিয়ার উদ্দিন বাবলু। তিনিও সন্ত্রাসীর গুলিতে বানরগাতি এলাকায় নিহত হন। ১৯৭০ সালে শেখ আবুল কাশেমের বড় ভাই শেখ আবুল খায়ের দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে নিহত হন।

 

খুলনা গেজেট/ টি আই




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!