খুলনা, বাংলাদেশ | ৬ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ | ২০ মে, ২০২৪

Breaking News

  হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিঁখোজ ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহীম রাইসি
  বাজারে থাকা এসএমসি প্লাসের সব ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকস প্রত্যাহারের নির্দেশ, বাজারজাতকারীকে ১৬ লাক টাকা জরিমানা

কালিগঞ্জ ও শ্যামনগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট গ্রহণ শেষে চলছে গণনা

নিজস্ব প্রতিবেদক, সাতক্ষীরা

৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে বুধবার (৮ মে) কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই শান্তিপূর্নভাবে সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ ও শ্যামনগর উপজেলায় ভোট গ্রহণ শেষ হয়েছে। সকাল ৮ট থেকে শুরু হওয়া ভোট গ্রহণ বিরতিহীনভাবে চলে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। তবে সকাল থেকে ভোট কেন্দ্র গুলোতে ভোটারের উপস্থিতি ছিল খুবই কম। বেলা বাড়ার সাথে সাথে কেন্দ্রগুলোতে ভোটারের সংখ্যা বাড়তে থাকে। ভোট গ্রহণ শেষে এখন চলছে গণনা।

কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সাঈদ মেহেদী (ঘোড়া প্রতীক) এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শেখ মেহেদী হাসান সুমন (আনারস প্রতীক)। এছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪জন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

কালীগঞ্জ উপজেলার ১২টি ইউনিয়নে মোট ভোটার ২লাখ ৪৭ হাজার ৮১৩জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১লক্ষ ২৫ হাজার ৪১৬জন, নারী ভোটার রয়েছেন ১লক্ষ ২২ হাজার ৩৯৫ জন এবং হিজড়া সম্প্রদায়ের ভোটার রয়েছেন ২জন।

এদিকে সুন্দরবন ঘেষা শ্যামনগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সাঈদ-উজ্জামান সাঈদ (আনারস প্রতীক), উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম মোস্তফা বাংলা (ঘোড়া প্রতীক) ও শ্যামনগর পূজা উপযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক এড. কৃষ্ণপদ মন্ডল (হেলিকপ্টার) এখানে উপজেলার একটি পৌরসভা ও ১১টি ইউনিয়নের মোট ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৮৮ হাজার ৪৬৬ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৪৬ হাজার ১৭১ জন এবং মহিলা ভোটার ১ লাখ ৪২ হাজার ২৯২জন। এছাড়াও হিজড়া ভোটার রয়েছে ৩জন। এই উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৩জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৮ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২জনসহ মোট ১৩জন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

এদিকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত শ্যামনগর উপজেলার বেশ কয়েকটি কেন্দ্র ঘুরে দেখা যায় উপজেলার চালিতাঘাটা কেন্দ্রে ১৮ শতাংশ, খানপুর কেন্দ্রে ১৪ শতাংশ ভোট পড়ে। তবে উপজেলার ঈশ্বরীপুর ইউনিয়নের বংশীপুর, শ্রীফলকাঠিসহ গোমানতলী কেন্দ্রগুলোতে ২২ থেকে ২৭ শতাংশ পর্যন্ত ভোট পড়ে। যদিও নুরনগর প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে দুপুর বারটা পর্যন্ত মাত্র ১০ শতাংশ ভোট পড়ে। তবে বিভিন্ন কেন্দ্র ঘুরে দেখা যায় তুলনামুলক নারী ভোটারের সংখ্যা বেশী।

এদিকে ছেলের হাত ধরে শ্যামনগর উপজেলার ১৫৬ নং দক্ষিণ বংশীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দিতে আসেন ৯০ উর্দ্ধ বয়সের বৃদ্ধ হাজারি লাল কয়াল। তার বাড়ি ঈশ্বরীপুর ইউনিয়নের বংশীপুর গ্রামে।

বৃদ্ধ হাজারি লাল কয়াল বলেন, আমি আমার পছেন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়েছি। আমার বয়স ৯০ বছর পেরিয়ে গেছে। এখন আর তেমন হাটা চলা করতে পারিনা। তার পরও ছেলে হাত ধরে আসলাম নিজের ভোটটা দিতে। এই বয়সে নিজে ভোট দিতে পেরে আমি খুশি।

বাদঘাটা কেন্দ্রের ভোটার জাহিদ সুমন বলেন, তারা নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পেরেছেন। কেন্দ্রের বাইরে কোন প্রার্থীর পক্ষ থেকে ভোটারদের প্রভাবিত করার ঘটনা ঘটেনি বলেও তিনি মন্তব্য করেন তিনি।

খানপুর কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার এমএম কামরুজ্জামান বলেন, ভোর রাতে বৃষ্টির কারনে সকালের দিকে ভোটার উপস্থিতি কম। তবে দুপুরের পর ভোটারের সংখ্যা বাড়তে থাকে।

এদিকে শ্যামনগরে জাল ভোট দেয়ার সময় জামাল হোসেন নামে এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। দুপুর একটার দিকে দক্ষিণ বংশীপুর কেন্দ্র থেকে তাকে আটক করা হয়। উপজেলা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম মোস্তফা বাংলার ঘোড়া প্রাথীকে ভোট দেয়ার সময় তাকে আটক করা হয়। তিনি একই গ্রামের আনছার ঢালীর ছেলে।

প্রিজাইডিং অফিসার রঞ্জন বৈদ্য জানান জাল ভোট দেয়ার সময় একজনকে আটক করা হয়। তবে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ শেষ হয়েছে। এখন চলছে ভোট গণনার কাজ।

খুলনা গেজেট/এএজে




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!