৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে বুধবার (৮ মে) সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ ও শ্যামনগর উপজেলায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। সকাল ৮টা থেকে শুরু হওয়া ভোট গ্রহণ বিরতিহীনভাবে চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। তবে সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত কালিগঞ্জ উপজেলার কয়েকটি কেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে প্রতিটি কেন্দ্রে ভোটারের উপস্থিতি খুবই কম। অল্প কিছু সংখ্যক পুরুষ ভোটার ভোট দেওয়ার জন্য লাইনে দাড়িয়ে আছে।
এদিকে এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ভোটারদের মধ্যে অন্যরকম উত্তেজনা কাজ করছে। অভিযোগের তীরে জর্জরিত বিভিন্ন প্রার্থী। তবে সকল অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে প্রশাসনিক কর্মকর্তারা বলছেন কালিগঞ্জ ও শ্যামনগর উপজেলা নির্বাচন হবে অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ। ভোট গ্রহণে কোন ধরনের অনিয়মের সুযোগ নেই।
কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সাঈদ মেহেদী (ঘোড়া প্রতীক) এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শেখ মেহেদী হাসান সুমন (আনারস প্রতীক)। এছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪জন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
কালীগঞ্জ উপজেলার ১২টি ইউনিয়নে মোট ভোটার ২ লাখ ৪৭ হাজার ৮১৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ২৫ হাজার ৪১৬ জন, নারী ভোটার রয়েছেন ১ লাখ ২২ হাজার ৩৯৫ জন এবং হিজড়া সম্প্রদায়ের ভোটার রয়েছেন ২ জন।
এদিকে সুন্দরবন ঘেষা শ্যামনগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সাঈদ-উজ্জামান সাঈদ (আনারস প্রতীক), উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম মোস্তফা বাংলা (ঘোড়া প্রতীক) ও শ্যামনগর পূজা উপযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক এড. কৃষ্ণপদ মন্ডল (হেলিকপ্টার)।
এখানে উপজেলার একটি পৌরসভা ও ১১টি ইউনিয়নের মোট ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৮৮ হাজার ৪৬৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৪৬ হাজার ১৭১ জন এবং মহিলা ভোটার ১ লাখ ৪২ হাজার ২৯২জন। এছাড়াও হিজড়া ভোটার রয়েছে ৩ জন। এই উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৩ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৮ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ জনসহ মোট ১৩ জন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
শ্যামনগর থানার অফিসার ইনাচর্জ (ওসি) আবুল কালাম আজাদ বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোট গ্রহণের লক্ষ্যে কোন কেন্দ্রে পাঁচজন, কোন কেন্দ্রে চারজন, কোন কেন্দ্রে তিনজন অস্ত্রসহ পুলিশ সদস্য থাকবে এবং সাথে থাকবে আনসার সদস্যরা। প্রায় প্রতিটি কেন্দ্রে ১৮ থেকে ২০ জন পুলিশসহ আনসার সদস্য থাকবে। এছাড়া থাকবে স্টাইকিং ফোর্স, বিজিবি, ডিবি ও র্যাব সদস্য। প্রতিটি ইউনিয়নে একটা মোবাইল ও একটি স্ট্রাইকিং ফোর্স টিম থাকবে। একজন ইন্সপেক্টরের নেতৃত্বে স্ট্রাইকিং এবং এসআই এর নেতৃত্বে মোবাইল থাকবে। ম্যাজিস্ট্রেট এর নেতৃত্বে পরিচালনা করা হবে মোবাইল কোর্ট।
শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নজিবুল আলম বলেন, নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয়ে কঠোর অবস্থানে রয়েছে প্রশাসন। আজকের নির্বাচনকে সামনে রেখে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। নির্বাচনী এলাকার ভোট কেন্দ্রে কোন ধরনের নিরাপত্তার ঘাটতি নেই। নির্বাচন শতভাগ নিরপেক্ষ হবে।
খুলনা গেজেট/এনএম