খুলনা, বাংলাদেশ | ৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৪ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ১০ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৮৮৬

কালিগঞ্জে মন্দিরে প্রসাদ খেয়ে শিশুর মৃত্যু, অসুস্থ ৭০

নিজস্ব প্রতিবেদক, সাতক্ষীরা

সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে বাসন্তী পূজা মন্দিরে প্রসাদ (খিচুড়ি) খেয়ে কাব্য দত্ত নামের এক শিশু মারা গেছে। সোমবার (২৪ জুন) ভোররাত একটা দিকে সাতক্ষীরা শিশু হাসপাতাল থেকে খুলনায় নিয়ে যাওয়া প্রাক্কালে মারা যায় সে।

এ ঘটনায় অসুস্থ হয়ে পড়েছে আরও প্রায় ৭০ জন নারী ও পুরুষ। তাদেরকে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, খুলনা আদ- দ্বীন হাসপাতাল সহ বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে।

শিশু কাব্য দত্ত যশোরের কেশবপুর উপজেলার চুকনগর সংলগ্ন শৈলগাতী গ্রামের উত্তম দত্তের ছেলে । মাকে সাথে নিয়ে সে সাতক্ষীরার কালীগঞ্জে তার নানা অশোক দত্তের বাড়িতে বেড়াতে এসে পূজায় অংশ নেয়। তার মরদেহ গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

অসুস্থরা হলেন, কাব্য দত্তের মা তিথী দত্ত (২৫), বানিয়াজাংগাল গ্রামের দিপু সেন (৩২), সুব্রত দত্ত (৩৪) পরিমল মন্ডল (৪২),তপন মন্ডলসহ(৩৮) প্রায় ৭০ জন নারী ও পুরুষ।

কালিগঞ্জের বিষ্ণুপুর বানিয়াজাংগাল বাসন্তী পূজা মন্দিরের সভাপতি শংকর দত্ত বলেন, শনিবার রাতে মন্দির প্রাঙ্গনে পূর্ণিমা তিথি উপলক্ষে পূজা-অর্চনা চলছিল। কীর্তন শেষে ভক্তদের মধ্যে প্রসাদ হিসেবে খিচুড়ি বিতরণ করা হয়। পরদিন প্রসাদ খাওয়া ভক্তদের অনেকেই বমি ও পাতলা পায়খানায় আক্রান্ত হন। সময় বাড়ার সাথে সাথে অসুস্থদের সংখ্যা বাড়তে থাকে। অসুস্থতার মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় ২০/২৫ জনকে কালিগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ৫ জনকে খুলনার আদ-দ্বীন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এছাড়া অন্যান্যরা স্থানীয় বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি রয়েছেন।

মন্দির কমিটির সদস্য নিমাই সেন জানান, কীর্তন শেষে ৪ বালতিতে করে প্রসাদ বিতরণ করা হয়েছিল। প্রসাদ খেয়ে কারো কারো পাতলা পায়খানা হয়েছে, আবার অনেকেরই কোন সমস্যা হয়নি।

কালিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. বুলবুল কবির জানান, বানিয়াজাংগাল মন্দিরের আশপাশে টিউবওয়েলের পানি পরীক্ষা করা হয়েছে। কিন্তু পানির কোন সমস্য পাওয়া যায়নি।

খাদ্যে বিষক্রিয়ার বিষয়ে চিকিৎসা কর্মকর্তা জানান, খিচুড়িতে বিষ প্রয়োগের কোন আলামত পাওয়া যায়নি। রান্নার অনেক ঘন্টা পরে বিতরণ করা হয়েছিল বিধায়, খিচুড়িতে প্রচুর পরিমাণ ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের কারণে কারো কারো পাতলা পায়খানা বা বমি হতে পারে।

কালিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের চিকিৎসা কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান জানান, ৩৪ জন চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। একটু আগে আরও ৩ জন এসেছেন। অসুস্থদের প্রধানত স্যালাইন দেওয়া হচ্ছে। ৩৪ জনের মধ্যে অধিকাংশ এখন সুস্থ রয়েছেন।

কালিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শাহীন স্থানীয়দের বরাত দিয়ে জানান, রোববার রাতে কাব্য দত্তকে সাতক্ষীরা শিশু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে সোমবার ভোররাতে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করার জন্য পাঠানো হচ্ছিল। কিন্তু ভোর রাত একটার দিকে সে মারা যায়।

খুলনা গেজেট/এএজে




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!