সাতক্ষীরার কালীগঞ্জে জমির সীমানায় শৌচাগারের চেম্বার নির্মাণকে কেন্দ্র করে ভাইপোর দায়ের কোপে নিহত হয়েছেন চাচা। সোমবার(১৬ মে) বিকেল ৫টার দিকে সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার গণেশপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় জনতা ঘাতক হাবিবুল্লাহকে আটক করে গণধোলাইয়ের পর পুলিশে সোপর্দ করেছে।
নিহতের নাম সাইফুল ইসলাম (৩২)। তিনি কালিগঞ্জ উপজেলার গণেশপুর গ্রামের আলাউদ্দিন গাজীর ছেলে।
গণেশপুর গ্রামের বিলকিস বেগম জানান, মেয়ে মীম ও সজীবসহ তাকে বাড়িতে রেখে স্বামী সাইফুল কয়েক মাস আগে ভারতের তামিলনাড়–তে কাজ করতে যান। গত ৮ মে সে বাড়িতে ফিরে আসে।
বিলকিস বেগম আরো জানান. তার ভাসুর আব্দুস সামাদ গাজী তার অংশ অনুযায়ি সীমানা নির্ধারণ করে সেখানে বাড়ি ঘর বানিয়ে বসবাস করছেন। এরপরও তিনি তার জমি তাদের (সাইফুল) সীমানার মধ্যে আছে বলে দাবি করে আসছিলেন। এ নিয়ে বিরোধও হয়েছে কয়েকবার। সোমবার বিকেল পাঁচটার দিকে তার স্বামীইনজের সীমানার মধ্যে শৌচাগারের হাউজ বানাতে গেলে ভাসুর সামাদ গাজী এসে শাবল দিয়ে সাইফুলের মাথায় আঘাত করতে যান। শাবল ধরে ফেলে সাইফুল। চিৎকার শুনে তিনি ও তার বোন তানিয়া ঘটনাস্থলে ছুঁটে যান। কোন কিছু বুঝে ওঠার আগেই ভাসুর সামাদের ছেলে রতনপুর আইডিয়াল কলেজের স্নাতক পরীক্ষার্থী হাবিবুল্লাহ ধারালো রাম দা দিয়ে সাইফুলের পেট ও হৃদপি-ের ওপর কোপ মারে। এতে সাইফুলের নাড়ি ভুড়ি বের হয়ে যায়। প্রতিবেশিরা মোটর সাইকেলে কওে সাইফুলকে প্রথমে কালিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে সন্ধ্যার দিকে দিকে সে মারা যায়। ক্ষুব্ধ জনতা ঘাতক হাবিবুল্লাহকে গণধোলাই দিয়ে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখে। পরে তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
কালিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা জানান, সাইফুলের লাশের ময়না তদন্তের জন্য মঙ্গলবার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। ঘাতক হাবিবুল্লাহকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দাসহ গ্রেপ্তার করা হয়েছে।