ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ সীমান্তের বিপরীতে ভারত সীমান্তে এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছে। সোমবার (১২ জুলাই) ভোর রাত আড়াইটার দিকে কালিগঞ্জ উপজেলার খাঁরহাট সীমান্তের বিপরীতে ভারতের অভ্যন্তরে হিঙ্গলগঞ্জ সংলগ্ন ঘোষপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত বাংলাদেশী যুবকের নাম মোঃ আব্দুর রাজ্জাক (১৯)। সে সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার ভাড়াশিমলা ইউনিয়নের কামদেবপুর গ্রামের রমজান আলী গাজীর ছেলে।
নিহতের চাচা সবুজ গাজী জানান, রোববার সন্ধ্যার পর আব্দুর রাজ্জাক বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। রাতে সে আর বাড়িতে ফেরেনি। সোমবার ভোর রাত আড়াইটার দিকে কালিগঞ্জের খাঁরহাট সীমান্তের বিপরীতে ভারতের অভ্যন্তওে হিঙ্গলগঞ্জ সংলগ্ন ঘোষপাড়া এলাকায় ৪ রাউÐ গুলির শব্দ শুনতে পান স্থানীয়রা। পরবর্তীতে বিএসএফ’র গুলিতে এক ব্যক্তির মৃত্যুর বিষয়টি জানতে পারেন তারা। ভারতের হিঙ্গলগঞ্জ ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা মৃতদেহ নিয়ে গেছে বলে বিভিন্ন সূত্র থেকে জানতে পেরেছেন বলে দাবি করেন সবুজ।
ভাড়াশিমলা ইউপি’র ৪নং ওয়ার্ডের সদস্য আব্দুল খালেক জানান, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে ভারতের হিঙ্গলগঞ্জ সংলগ্ন ঘোষপাড়া এলাকায় বিএসএফ’র গুলিতে আব্দুর রাজ্জাকের নিহত হওয়ার বিষয়টি জানা যায়। পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ১৭ বিজিবি ব্যাটালিয়নের বসন্তপুর ক্যাম্পে মরদেহ ফেরত পাওয়ার জন্য যোগাযোগ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
এদিকে, সীমান্তের একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, আব্দুর রাজ্জাক দীর্ঘদিন ধওে নদীপথে ভারত থেকে গরুসহ অবৈধ মালামাল আনা নেওয়ায় করতো। রোববার সন্ধ্যার পর সে গরু আনার জন্য সীমান্ত পেরিয়ে ভারতের হিঙ্গলগঞ্জ এলাকায় গিয়েছিল। গরু নিয়ে ফেরার পথে বিএসএস’র গুলিতে সে নিহত হয়েছে।
বসন্তপুর ক্যাম্পের ইনচার্জ হাবিলদার খলিল জানান, পরিবারের সদস্যদের লিখিত আবেদনের মাধ্যমে বিএসএফ’র গুলিতে আব্দুর রাজ্জাক নামে এক যুবকের মৃত্যুর বিষয়টি জানতে পেরেছি। এব্যাপারে নিশ্চিত হওয়ার জন্য হিঙ্গলগঞ্জ ক্যাম্পে বিএসএফ কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা চলছে।