খুলনা, বাংলাদেশ | ৩ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ | ১৭ মে, ২০২৪

Breaking News

  রাজধানীর বাসাবোতে ১১ তলা থেকে পড়ে তিন শ্রমিকের মৃত্যু
  কক্সবাজার সদর উপজেলায় খাল থেকে দুই জেলের মরদেহ উদ্ধার
  কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে নিহত ৫, আহত ১৫

কারামুক্তির পর যা বললেন মির্জা আব্বাস

গেজেট ডেস্ক 

সাড়ে তিন মাসের বেশি সময় পর কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। সোমবার সন্ধ্যার পর কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি। কারাফটকে মির্জা আব্বাসকে ফুল দিয়ে বরণ করেন মহিলা দলের সভানেত্রী ও তার সহধর্মিণী আফরোজা আব্বাস, ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নিপুণ রায় চৌধুরীসহ দলটির বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী।

এসময় সাংবাদিকদের মির্জা আব্বাস বলেন, আমি এই সরকারকে একটুকু বলবো, জেলখানায় যারা আছে, তাদেরকে ভালোভাবে সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করার জন্য। অপ্রতুল চিকিৎসার কারণে বহু কর্মী অসুস্থ হয়ে পড়েছে। আজকে শুধু বলবো, আমাদের মুক্তির আন্দোলন যেভাবে হোক চলবে।

তিনি আরও বলেন, জেলখানায় ভেতরে এখনো আমাদের অনেক কর্মী আছে, অনেক কর্মীকে সাজা দিয়েছে। আমাদেরকে প্রথমে ওদেরকে মুক্ত করার ব্যবস্থা করতে হবে। কারণ কর্মী ছাড়া দল কখনো বাঁচে না। পানি ছাড়া যেমন মানুষ বাঁচতে পারে না তেমনি কর্মী ছাড়া দলও বাঁচবে না। সুতরাং কর্মীদেরকে আমাদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে।

মির্জা আব্বাসের আইনজীবী মহিউদ্দিন চৌধুরী জানান, মির্জা আব্বাসের ৩৬টি মামলায় জামিন হয়েছে। জামিননামা কারাগারে পৌঁছানোর পর নিয়ম অনুযায়ী তাকে মুক্তি দেয়া হয়েছে সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে। এর আগে দুপুরে ঢাকা রেলওয়ে থানার মামলায় ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. জুলহাস উদ্দিনের আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন।

উল্লেখ্য, গত ২৮শে অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে ১১টি মামলা হয়। শাহজাহানপুর থানার নাশকতা ও বিস্ফোরক আইনের মামলায় ৩১ অক্টোবর রাতে ঢাকার শহীদবাগ থেকে মির্জা আব্বাসকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ। এ মামলায় পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে ৫ নভেম্বর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। গত ২৪ জানুয়ারি আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা রেওলয়ে থানার আরেক মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। গত ১ ফেব্রুয়ারি মির্জা আব্বাসের পল্টন থানার পাঁচ এবং রমনা মডেল থানার চার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন আদালত। পরে ৫ ফেব্রুয়ারি পল্টন থানার চার ও রমনা মডেল থানার দুই মামলায় জামিন মঞ্জুর করেন আদালত। পরদিন ৬ ফেব্রুয়ারি শাহজাহান পুর, পল্টন থানার ও রমনা মডেল থানার পৃথক আরও তিন মামলায় ও গত ১৮ ফেব্রুয়ারি রমনা মডেল থানার প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার মামলায় জামিন পান তিনি।

খুলনা গেজেট/এমএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!