মুক্তিযুদ্ধ ও সাংবাদিকতায় বিশেষ অবদান রাখার জন্য ‘কাজী ইমদাদুল হক স্মৃতি পদক’ ও সম্মাননা সনদ গ্রহণ করেছেন খুলনা প্রেসক্লাব ও খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেন মিন্টু। এছাড়া গবেষণা ও প্রবন্ধে বিশেষ অবদান রাখায় প্রফেসর বিভূতি ভূষণ মন্ডলকেও পদক ও সম্মাননা করা হয়েছে।
সু-সাহিত্যিক কাজী ইমদাদুল হকের ১৪১তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে গতকাল খুলনার পাইকগাছা উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে কাজী ইমদাদুল হক স্মৃতি পরিষদ আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে কাজী ইমদাদুল হক পদক প্রদান করা হয়। এছাড়া অনুষ্ঠানে অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে ছিলঃ সাহিত্যিকের প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ, আলোচনা সভা, পদক ও সম্মাননাপত্র প্রদান, কবিতা আবৃতি ও ছাত্র-ছাত্রীদের বিভিন্ন প্রতিযোগিতার পুরস্কার প্রদান।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও কাজী ইমদাদুল হক স্মৃতি ট্রাস্টের সভাপতি মমতাজ বেগমের সভাপতিত্বে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান আনোয়ার ইকবল মন্টু। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খুলনা প্রেসক্লাব ও খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেন মিন্টু, বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ও গবেষণা পরিষদ পাইকগাছা শাখা সভাপতি প্রভাষক মোমিন উদ্দীন, উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা বেনজীর আহমেদ। বিশেষ আলোচক ছিলেন গবেষক ও প্রাবন্ধিক অধ্যাপক বিভুতি ভূষণ মন্ডল। স্বাগত বক্তৃতা করেন স্মৃতি পরিষদের সভাপতি সাংবাদিক প্রকাশ ঘোষ বিধান।
বক্তৃতা করেন সহকারী শিক্ষক শিবশংকর রায়, প্রভারঞ্জন বিশ্বাস, আব্দুর রাজ্জাক মদিনাবাদী, শিক্ষার্থী ফিারজানা আক্তার ময়না প্রমুখ। অনুষ্ঠানে মাধ্যমিক স্কুল পর্যায়ে কাজী ইমদাদুল হকের জীবনী রচনা প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকারী জুলিয়া আক্তার এবং রচনা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী ৬২জন ছাত্র-ছাত্রীকে পুরস্কৃত করা হয়।
উল্লেখ্য, সু-সাহিত্যিক কাজী ইমদাদুল হক ১৮৮২ সালের ৪ নভেম্বর খুলনার পাইকগাছা উপজেলার গদাইপুর গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। বিগত ২০১৭ সাল থেকে কাজী ইমদাদুল হক স্মৃতি পরিষদে’র উদ্যোগে প্রতিবছর তাঁর জন্মদিনে পদক প্রদান ও রচনা প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের পুরস্কৃত করে আসছে।