খুলনার পাইকগাছায় মুক্তিপণের দাবিতে কলেজ ছাত্র আমিনুর রহমান (২০) কে অপহরণের পর হত্যার ঘটনায় গত দু’দিনেও কপোতাক্ষ নদে তল্লাশি চালিয়ে তার লাশ উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। এদিকে ঘটনার প্রধান নায়ক আটক ফয়সালের ফাঁসির দাবিতে পরিবারের পাশাপাশি এলাকাবাসী মঙ্গলবার সকালে এলাকায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে।
পাইকগাছা থানা পুলিশ জানায়, ঘটনার নায়ক আটক হত্যাকারী ফয়সালের স্বীকারোক্তি মোতাবেক তাকে নিয়ে লাশ উদ্ধারে সোমবারের ন্যায় মঙ্গলবারও পুলিশ ঘটনাস্থল কপোতাক্ষের উপজেলার আগড়ঘাটা ফুলতলা এলাকায় অভিযান অব্যাহত রাখলেও লাশ উদ্ধার সম্ভব হয়নি। তবে সোমবার ঘটনাস্থলে রক্তের দাগ দেখতে পায় পুলিশ।
প্রসঙ্গত, রবিবার (৭ নভেম্বর) উপজেলার শ্যামনগর গ্রামের ছুরমান গাজীর ছেলে ও কপিলমুনি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র অঅমিনুর রহমান (২০) কে মুক্তিপণের দাবিতে অপহরণ করে পার্শ্ববর্তী গদাইপুর গ্রামের জিল্লুর রহমানের ছেলে ফয়সাল (২২)। এরপর তাকে অজ্ঞাত স্থানে রেখে আমিনুরের ব্যবহৃত ফোন দিয়ে ঐদিন রাত ১০ টার দিকে তার পিতা ছুরমান গাজীর কাছে দশ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারী। এসময় মুক্তিপণের টাকা পাইকগাছা ব্রীজের নীচে রাখতে বলা হয়। এরপর অপহৃত আমিনুরের পিতা ছুরমান গাজী তার কথামত দাবির কিছু টাকা নির্দিষ্ট স্থানে রেখে দূর থেকে লোক দিয়ে নিরীক্ষণ করেন। পরে ফয়সালকে টাকা নিয়ে ফেরার সময় আটক করে পুলিশে সোর্পদ করা হয়।
পাইকগাছা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জিয়াউর রহমান বলেন, ফয়সালের মোবাইল ফোন ট্রাকিং করে তাকে আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদে অপহরণের বিষয়টি স্বীকার করে তাকে কোমল পানীয়ের সাথে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে হত্যা করে দাসহ তার লাশ কপোতাক্ষ নদীতে ফেলে দেয় বলে জানায়। এরপর সোমবার দুপুরের পর তাকে নিয়ে স্বীকারোক্তি মোতাবেক ঘটনাস্থলে গিয়ে রক্তের দাগ পাওয়া গেলেও কপোতাক্ষ ব্যাপক তল্লাশী চালিয়েও তার লাশের সন্ধান মেলেনি।
পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে আটক ফয়সাল জানায়, তার প্রেমিকার মোটর বাইক কেনার আব্দার রক্ষা করতে সে আমিনুরকে অপহরণ করে তার পিতার কাছে মুক্তিপণ দাবি করে। তবে মুক্তিপণ নেওয়ার আগেই তাকে হত্যার ঘটনায় বিষয়টিকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। ধারণা করা হচ্ছে, তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।
খুলনা গেজেট/এনএম