সাতক্ষীরার কলারোয়া পৌরসভার তৃতীয় নির্বাচন ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। বিরতিহীনভাবে চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন সম্পন্ন করতে ইতিমধ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে স্থানীয় প্রশাসন। নির্বাচনে মেয়র পদে ৩ জন ও কাউন্সিলর পদে লড়ছেন ৫২ জন প্রার্থী। যদিও মেয়র পদে ব্যালটে ৫ জনের নাম রয়েছে।
বিগত ১৯৯০ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর দীর্ঘবছর সীমানা জটিলতার মামলা থাকায় নির্বাচন হতে পারেনি। মামলা নিষ্পত্তির পর প্রথম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ২০১১ সালে। দ্বিতীয় নির্বাচন হয় ২০১৫ সালের ৩০ ডিসেম্বর। বিগত দু’টি নির্বাচনেই বিএনপি নেতা আক্তারুল ইসলাম মেয়র পদে জয়লাভ করেন। প্রথমবার বিএনপি’র বিদ্রোহী ও দ্বিতীয়বার দলীয় প্রার্থী হিসাতে তিনি জয়লাভ করেন। কিন্তু নানা কারণে তিনি দায়িত্ব পালন করতে পারেননি। এবারের নির্বাচনে মনোনয়ন দাখিল করেও গত ১৮ জানুয়ারি এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন ২ বারের সাবেক মেয়র বিএনপি নেতা আকতারুল ইসলাম। তবে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে জগ প্রতীক নির্বাচনে লড়ছেন তার স্ত্রী নার্গিস সুলতানা।
এদিকে নির্বাচনের একেবারে শেষ মূহুর্তে ২৯ জানুয়ারি (শুক্রবার) সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে নৌকা প্রতীকে সমর্থন জানিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান মোবাইল ফোন প্রতীকের স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা সাজেদুর রহমান খান চৌধুরী। ফলে মেয়র পদে ৫ জনের নাম থাকলেও কার্যত: লড়াইয়ে রয়েছেন ৩ প্রার্থী।
এরা হলেন আওয়ামী লীগের মাস্টার মনিরুজ্জামান বুলবুল (নৌকা), বিএনপি’র শেখ শরীফুজ্জামান তুহিন (ধানের শীষ) ও সাবেক মেয়র আকতারুল ইসলামের সহধর্মিণী নার্গিস সুলতানা (জগ)। সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৩৯ জন ও সংরক্ষিত ৩টি (মহিলা) কাউন্সিলর পদে ১৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় টিকে রয়েছেন।
সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও কলারোয়া উপজেলা নির্বাচন অফিসার মনোরঞ্জন বিশ্বাস জানান, নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে। প্রতিটি কেন্দ্রে নিরাপত্তা বিধানে পর্যাপ্ত আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা মোতায়েন রয়েছেন।
উল্লেখ্য, পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে মোট ভোটার ২১,২৮০ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১০,২৮৪ ও মহিলা ভোটার ১০,৯৯৬ জন।
খুলনা গেজেট/এনএম