সাতক্ষীরার কলারোয়ায় প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের ১২৭টি স্কুল ও ৫টি মাদরাসার ২০ হাজার ৮৪৮ জন সুবিধাভোগী শিক্ষার্থীর উপবৃত্তির টাকা হ্যাকারদের কবলে পড়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ফলে টাকা পাচ্ছেন না তালিকাভুক্ত শিক্ষার্থীরা।
কলারোয়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের অধিনে কলারোয়া উপজেলায় ১২৭টি স্কুল ও ৫টি মাদরাসার ২০ হাজার ৮৪৮ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। তারা প্রতি মাসে ১৫০ টাকা হারে ৩ মাসের টাকা এক সাথে ৪৫০ টাকা পাবেন। বুধবার (১৭ মার্চ) এই টাকা কলারোয়ার প্রতিটি শিক্ষার্থীর মোবাইল ফোনে বিকাশের মাধ্যমে আসার কথা। কিন্তু কলারোয়ার ছলিমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দেখা গেছে অন্যচিত্র। সেখানে ১৯৬ জন শিক্ষার্থীর মোবাইল ফোনে টাকা আসার কথা থাকলেও ৯০ জন শিক্ষার্থী বৃত্তির টাকা এখনো পায়নি। এছাড়া উপজেলার অনেক স্কুলেও বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা নাগাদ উপ বৃত্তির টাকা পায়নি বলে অভিযোগ এসেছে উপজেলা শিক্ষা অফিসে।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার রুহুল কুদ্দুস তালুকদার জানান, উপজেলায় ১৯ হাজার ২৬৯ জন সুবিধাভোগী শিক্ষার্থী ও অভিভাবক ৬৮ লাখ ৬৬ হাজার ১শ টাকা পাচ্ছেন। এই টাকা বিকাশের মাধ্যমে প্রতিটি শিক্ষার্থীর কাছে সরাসরি পৌঁছে যাবে। সেখানে কিছু শিক্ষার্থী টাকা পেয়েছে। আবার কিছু শিক্ষার্থী টাকা পায়নি বলে তার দপ্তরে অভিযোগ এসেছে। হিসাব অনুযায়ী প্রায় ২০ শতাংশ শিক্ষার্থীরা টাকা পায়নি। তিনি ইতিমধ্যে প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মাইকিং করে বিষয়টি অভিভাবকদের জানিয়ে দিয়েছেন।
এদিকে বৃহস্পতিবার (১৮ মার্চ) সন্ধ্যা পর্যন্ত অনেক শিক্ষার্থীরা টাকা না পাওয়ায় উপজেলা শিক্ষা অফিসের কর্মকর্তারা ধারণা করছেন হ্যাকার কবলে পড়েছে শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা। বিষয়টি নিয়ে উপবৃত্তি প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর ও অভিভাবকগণ শিক্ষা মন্ত্রীর সু-দৃষ্টি কামনা করেছেন।
খুলনা গেজেট/এনএম