সাতক্ষীরার কলারোয়া পৌর সদরের ৯টি ওয়ার্ডের ৩টি পয়েন্টে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচীর আওতায় অসহায় হতদরিদ্র মানুষের জন্য প্রদানকৃত স্বল্প মূল্যে ওএমএস’র ডিলার বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছেন কলারোয়া পৌর সদরের করোনাকালীন সময়ে বেকার ও অসহায় হতদরিদ্র মানুষেরা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, কলারোয়া পৌর সদরের তুলসিডাঙ্গা, ঝিকরা পূজামন্ডপ বটতলা ও মুরারিকাটি ওএমএস ডিলারের দোকানে গুলোতে গ্রামবাসীর উপচেপড়া ভীড়। অনেক হতদরিদ্র ও করোনাকালীন সময়ে বেকার হওয়া অসহায় মানুষ
গুলো লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে চাউল ও আটা না পেয়ে ফিরে যাচ্ছে।
এব্যাপারে পৌরসভার ডিলার স.ম গোলাম ছরোয়ার সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, সপ্তাহে ৬দিন এই চাউল এবং আটা বিতরণ করছি। প্রতিদিন এক টন আটা ও দেড় টন চাউল। করোনার কারণে এবছর অসহায় হতদরিদ্র মানুষের সংখ্যা বেশী হওয়ায় আমরা ডিলারগণ বিতরণ করতে হিমসিম খাচ্ছি। চাউল, আটার পরিমাণ বেশী হলে অথবা পৌরসভার অন্যান্যে ওয়ার্ডে ডিলার নিয়োগ করলে উপকারভোগীদের জন্য ভাল হতো। ডিলার নজরুল ইসলাম এবং ডিলার নরেন্দ্র নাথ ঘোষও একই মতামত প্রকাশ করেছেন।
এদিকে কলারোয়া পৌরসভার মেয়র মাস্টার মনিরুজ্জামান বুলবুল বলেন, উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের অসহায় হতদরিদ্র মানুষেরা সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন প্রকারের খাদ্য সহায়তা পেয়ে থাকেন। সে তুলনায় পৌরসভার অসহায় হতদরিদ্র
মানুষেরা অনেক কম খাদ্য সহায়তা পাচ্ছেন। তাই ওএমএস’র খাদ্যসামগ্রী বিতরণের পরিমাণ বৃদ্ধি ও কয়েকজন ডিলার নিয়োগ করলে পৌরসভার অসহায় হতদরিদ্র মানুষেরা উপকৃত হতো।
তিনি আরো বলেন, ইউনিয়নে খাদ্য বিতরণের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা থাকলেও পৌরসভায় দীর্ঘ মেয়াদী কোন ব্যবস্থা নেই। তাই পৌরসভার
চলমান এই ওএমএস এর খাদ্য কর্মসূচী যেন হঠাৎ করে বন্ধ হয়ে না যায় তার জন্য অসহায় পৌরবাসি দাবি জানিয়েছেন। করোনার কারণে বেকার হওয়া মানুষগুলো যেন অল্প মূল্যে খাদ্যসহায়তা দীর্ঘ মেয়াদে পায় তার জন্য সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকসহ সরকারের উদ্বর্তন কর্মকর্তাদের কাছে তিনি দাবি জানিয়েছেন।
খুলনা গেজেট/ টি আই