সোমবারের ইউপি নির্বাচনকে সামনে রেখে সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার সোনাবাড়িয়া ইউনিয়নে দুই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। রোববার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে আটটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এসময় একজন স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী ও একজন ইউপি সদস্য প্রার্থীসহ কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছেন।
ঘটনার সময় হামলাকারীরা ওই প্রার্থীর নির্বাচনী কার্যালয় ভাংচুর করেছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনলেও সেখানে তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে। এরই মধ্যে আহতদের বিভিন্ন ক্লিনিক ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই হামলার জন্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শহিদুল ইসলাম আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী মোঃ বেনজির হোসেনকে দায়ী করেছেন।
চেয়ারম্যান পদে বিএনপি সমর্থক স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম জানান, রাতে তিনি তার নির্বাচনী কার্যালয়ে বসে সোমবারের নির্বাচনে নেতাকর্মীদের মাঝে দায়িত্ব বন্টনের কাজ করছিলেন। এসময় আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থীসহ তার সমর্থকরা অতর্কিত তার নির্বাচনী কার্যালয়ে হামলা করে। একইসময় হামলাকারীরা মেম্বর পদপ্রার্থী আনারুলের কার্যালয়েও হামলা করে। এই হামলায় কমপক্ষে ১৫জন আহত হন।
তিনি বলেন, ‘আমি নিজে আহত হয়ে আত্মরক্ষার জন্য পালিয়ে গেছি। আমার লোকজনদের হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। এসময় তারা আমার নির্বাচনী এজেন্টদেরকে কেন্দ্রে না যেতে হুমকি দিয়ে যায়।’
তবে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মোঃ বেনজির হোসেন বলেন, ‘দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়েছে। আমার একজন কর্মীর মাথায় ইটের আঘাত লেগেছে।’
কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মীর খায়রুল কবির জানান, ঘটনার কথা জানতে পেরে আমি নিজেই রাতে ঘটনাস্থলে যাই। এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। কোন পক্ষই এ ব্যাপারে থানায় লিখিত অভিযোগ করেনি।
খুলনা গেজেট/ এস আই