যশোরে স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মচারী পরিচয়ে করোনা পরীক্ষার নমুনা সংগ্রহের নামে মানুষের কাছ থেকে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে শাহরিয়ার হাসান সজিব নামে এক যুবক। বুধবার (১২ জানুয়ারি) কোতোয়ালি মডেল থানায় তার বিরুদ্ধে মামলা হওয়ার পর তাকে পুলিশ আটক করা করেছে। আটক সজিব যশোর শহরের পুরাতন কসবা নতুন খয়েরতলার মিতালী আবাসিক এলাকার আব্দুস সাত্তারের ছেলে।
মামলাটি দায়ের করেছেন ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর গ্রামের বর্তমানে যশোর শহরের ঘোপ নওয়াপাড়া রোড আরমান শফি হিমেলে বাড়ির ভাড়াটিয়া বীর মুক্তিযোদ্ধা তাজুল ইসলামের মেয়ে তানিয়া ইয়াসমিন।
মামলায় তিনি বলেছেন, গত ৪ জানুয়ারি দুপুরে তার ভাড়া বাড়ি থেকে শাহরিয়ার হাসান সজিব নিজেকে স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মচারী পরিচয় দিয়ে তার কোভিড-১৯ সংক্রমণ সংক্রান্ত নমুনা সংগ্রহ করেন। সজিব তাকে বলেন, ৭২ ঘন্টার মধ্যে রিপোর্ট মোবাইলে ম্যাসেজের মাধ্যমে পাওয়া যাবে। কিন্তু ৭২ ঘন্টা অতিক্রান্ত হওয়ার পরও তানিয়া ইয়াসমিন মোবাইলে কোনো ম্যাসেজ পাননি। এরপর তিনি সজিবকে ফোন করলে বিভিন্নভাবে তালবাহনা করতে থাকেন।
এক পর্যায় ১০ জানুয়ারি সজিব তাকে একটি সার্টিফিকেট কপি প্রদান করেন। সজিবের দেয়া সার্টিফিকেট পেয়ে তার সন্দেহ হয়। বিষয়টি যাচাই করতে তিনি পরদিন সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কার্যালয়ে যান। পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা যাচাই করে সার্টিফিকেট সঠিক নয় বলে জানান।
৪ জানুয়ারি নমুনা সংগ্রহ করে রেজিস্ট্রারে অর্ন্তভূক্ত করা হয়নি। সজিব নিজেকে স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মচারী পরিচয় দিয়ে প্রতারণা করে তিনিসহ জনগণের কাছ থেকে করোনা সংক্রমনের নমুনা বাবদ অনেক টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।