খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেছেন, করোনা পরিস্থিতি শিথিল হয়ে আসলেও তা এখনো নির্মূল হয়নি। ফলে আগামীতে এই ভাইরাসের সংক্রমণ শিশুদের মধ্যেও ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। কোভিড-১৯ সংক্রমণ থেকে শিশুদের রক্ষায় সরকার পাঁচ থেকে এগারো বছর বয়সী সকল শিশুকে ভ্যাকসিনেশনের আওতায় আনার কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। খুলনায় সরকারের এ কর্মসূচি সফলভাবে বাস্তবায়নে তিনি অভিভাবকের পাশাপাশি শিক্ষকদেরও দায়িত্বশীল ভূমিকা আশা করেন। সম্মিলিতভাবে কাজ করলে জনগুরুত্বপূর্ণ এ কর্মসূচি শতভাগ সফল করা সম্ভব হবে বলে সিটি মেয়র উল্লেখ করেন।
সিটি মেয়র মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) সকালে নগর ভবনের শহীদ আলতাফ মিলনায়তনে মহানগরীর প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষকদের সাথে আয়োজিত ওরিয়েন্টেশন ও পরিকল্পনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
৫ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের কোডিড-১৯ ভ্যাকসিনেশন (পেডিয়াট্রিক ফাইজার বায়োএনটেক কমিরনেটি) ক্যাম্পেইন সফল করার লক্ষ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহযোগিতায় কেসিসি’র স্বাস্থ্য বিভাগ এ সভার আয়োজন করে। আগামী ২৫ আগস্ট থেকে খুলনা মহানগরী এলাকায় শিশুদের ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্পেইন শুরু হবে বলে সভায় জানানো হয়। অভিভাবকগণ ৫ থেকে ১১ বছর বয়সের শিশুদের জন্ম সনদপত্রের মাধ্যমে সুরক্ষা ওয়েব পোর্টাল অথবা এ্যাপসের মাধ্যমে অনলাইন রেজিস্ট্রেশন করবেন।
প্রকাশ থাকে যে, শিশুদের জন্ম নিবন্ধন নম্বর অবশ্যই ১৭ ডিজিটের হতে হবে। রেজিস্ট্রেশনের সময় কেন্দ্র হিসেবে (১) খুলনা জেনারেল (সদর) হাসপাতাল, (২) খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, (৩) শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতাল এবং (৪) খুলনা পুলিশ হাসপাতাল-এর মধ্য থেকে সুবিধাজনক যে কোন একটি কেন্দ্র চিহ্নিত করতে হবে। রেজিস্ট্রেশনকৃত শিশুরা নিজের স্কুল কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী নির্দিষ্ট দিনে স্ব-স্ব স্কুলে ভ্যাকসিন গ্রহণ করতে পারবে। ভ্যাকসিন গ্রহণের দিনে রেজিস্ট্রেশন কার্ড অবশ্যই সাথে আনতে হবে।
কেসিসি’র শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পরিবার পরিকল্পনা ও স্বাস্থ্য রক্ষা ব্যবস্থা স্থায়ী কমিটির সভাপতি কাউন্সিলর মো. মনিরুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন কাউন্সিলর শেখ মোহাম্মদ আলী ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (যুগ্মসচিব) লস্কার তাজুল ইসলাম। অন্যান্যের মধ্যে সচিব মো. আজমুল হক, ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. কামাল হোসেন, কেসিসি’র প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. স্বপন কুমার হালদার, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক কর্মকর্তা এসকেএম তাছাদুজ্জামানসহ প্রায় ৩ শতাধিক প্রধান শিক্ষক সভায় অংশগ্রহণ করেন। পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন কেসিসি’র স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. শরীফ শাম্মিউল ইসলাম।