খুলনা, বাংলাদেশ | ৫ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২০ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রক্টর নিয়োগ নিয়ে ছাত্রদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া
  ৭ দিনের জন্য আন্দোলন স্থগিত করেছেন তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা
  ইউনাইটেড হাসপাতালের চেয়ারম্যানসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
  ৪০তম ব্যাচের ক্যাডেট এসআইদের সমাপনী কুচকাওয়াজ স্থগিত

করোনার মধ্যেও গতি ফিরেছে খুলনার ৩৩০ মেগা. বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে

মোহাম্মদ মিলন

খুলনায় ৩৩০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৫২ দশমিক ৯৫ শতাংশ নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। করোনার মধ্যে কিছুটা ভাটা পড়লেও চালু ছিল নির্মাণ কাজ। দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে প্রকল্পের নির্মাণ কাজ। এ প্রকল্পটির নাম ‘খুলনা ৩৩০ মেগাওয়াট ডুয়েল-ফুয়েল কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প’। এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি গ্যাস এবং জ্বালানি তেল দুটোতেই চলবে। গ্যাসে চললে এটি থেকে ৩৫৭ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব হবে।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, খুলনা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের অভ্যন্তরে প্রকল্প এলাকায় পুরোদমে চলছে নির্মাণ কাজ। চীনা প্রকৌশলী এবং দেশী প্রকৌশলী ও শ্রমিক দিয়ে বিদ্যুৎ প্রকল্পের নির্মাণ কাজ করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে প্রকল্প এলাকায় ৩টি ফুয়েল ট্যাংকের বেইজমেন্টের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ২টি ওয়াটার ট্যাংকের বেইজমেন্টের কাজ শেষ। একই সাথে শেষ হয়েছে ওয়ার্কশপ ও ওয়াটার হাউজ এবং কুলিং টাওয়ারের প্রাইলিং কাজ। গড়ে তোলা হয়েছে দৃষ্টিনন্দন তিনতলা স্কুল ভবন। চলছে ৩৩০ মেগাওয়াট ডুয়েল-ফুয়েল কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের কর্মযজ্ঞ।

খুলনা ৩৩০ মেগাওয়াট ডুয়েল-ফুয়েল কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের উপ-প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী মোঃ জাহিদ হোসেন জানান, গত বছরের ২৭ আগস্ট প্রকল্প এলাকায় পাইলিংয়ের কাজ শুরু হয়। এখানে ২৪ একর জায়গা জুড়ে দুটি ভাগে কাজ চলছে। একটি প্লান্ট নির্মাণ, অপরটি আবাসিক ও দপ্তর নির্মাণ। প্রকল্পের কাজের ভৌত অগ্রগতি ৫২ দশমিক ৯৫ শতাংশ। আর আর্থিক অগ্রগতি ৩৮ দশমিক ৫৮ শতাংশ। কাজের অগ্রগতি অত্যন্ত সন্তোষজনক। পদ্মা সেতুর পর এই প্রকল্পের অগ্রগতি সবচেয়ে ভালো বলে তিনি মন্তব্য করেছেন।

প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দেয়া তথ্য মতে, ২০১৯ সালের ১৮ জুন প্রকল্পের মেয়াদ ও ব্যয় বাড়ানো হয়েছে। ২০১৮ সালের ৪ সেপ্টেম্বর শুরু হওয়া এ প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয় গত জুনে। যা ২০২২ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে। প্রকল্পের ব্যয় বেড়েছে ৬৬৫ কোটি ৪৯ লাখ টাকা। আগে ব্যয় ধরা হয়েছিল ৩ হাজার ২৫৩ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। যা বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৯১৯ কোটি ২৫ লাখ টাকায়। মোট ব্যয়ের মধ্যে বৈদেশিক সহায়তা ২ হাজার ৩৭০ কোটি ৪১ লাখ টাকা, জিওবি ১ হাজার ৩ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। বাকি ৫৪৫ কোটি ২০ লাখ টাকা দেবে পিডিবি। এ প্লান্ট স্থাপনের কাজ করছে চীনের ‘কোম্পানি কনসোর্টিয়াম অব হারবিনং ইলেকট্রিক ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড এবং জিয়ানশু ইটার্ন কোম্পানি লিমিটেড’।

প্রকল্পের উপ-প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী মোঃ জাহিদ হোসেন বলেন, করোনার কারণে কাজের কিছুটা সমস্যা হয়। তবে চীনা প্রকৌশলীরা কাজ চালিয়ে যায়। নির্ধারিত সময়ে প্রকল্প বাস্তবায়নের বিষয়ে তিনি আশাবাদী।




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!