করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্টের আতঙ্কে বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে ভারত থেকে দেশে ফিরেছে স্বাভাবিকের তুলনায় দ্বিগুণ মানুষ। ভারত ফেরত যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে কলকাতাসহ বিভিন্ন অঞ্চলে। এ কারণে নির্ধারিত সময়ের আগেই দেশে ফিরতে শুরু করেছেন চিকিৎসা এবং ভ্রমণ ভিসার যাত্রীরা। গত এক সপ্তাহে ভারত থেকে দেশে ফিরেছে প্রায় ৩০ হাজার যাত্রী। এ সময়ে ভারতে গেছে ১৯ হাজার পাসপোর্টধারী যাত্রী।
বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) সকালে বন্দর এলাকায় সতর্কতা জারির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শার্শা উপজলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ইউসুফ আলী।
চিঠিতে বলা হয়, চীন-ভারতসহ বিভিন্ন দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ছে। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতেও ওমিক্রনের এই উপ-ধরন শনাক্ত হওয়ায় বাংলাদেশে আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে। এই অবস্থায় নতুন ধরনকে ‘অত্যন্ত সংক্রামক’ উল্লেখ করে দেশের সব স্থল, নৌ ও বিমানবন্দরে সতর্কতার পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা। আন্তর্জাতিক ভ্রমণকারীদের মাধ্যমে এই ভাইরাস যেন বাংলাদেশে প্রবেশ করতে না পারে এজন্য চীন, ভারত, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, ব্রাজিল, জার্মানিসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে আগত সন্দেহজনক যাত্রীদের ব্যাপারে হেলথ স্ক্রিনিং জোরদার করতে হবে। সব সন্দেহজনক যাত্রীকে র্যাপিড এন্টিজেন টেস্ট করতে হবে।
ভারত ফেরত ব্যবসায়ী কামাল হোসেন জানান, তিনি কাশ্মীর বেড়ানোর ইচ্ছা নিয়ে ভারতে গিয়েছিলেন। কলকাতার মানুষের মধ্যে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যাওয়ায় বাধ্য হয়ে দেশে ফিরেছেন।
সরেজমিনে ইমিগ্রেশন ও কাস্টমসের তল্লাশি কেন্দ্রের মধ্যে ও ইমিগ্রেশন এলাকায় গিয়ে দেখা যায় অধিকাংশ মানুষের মুখে মাস্ক নেই। যাদের মাস্ক আছে তাদের মাস্ক পড়া গলায়। ক্যামেরা দেখে অনেককেই মাস্ক পড়তে দেখা যায়। তবে ভারত থেকে আসা পাসপোর্টযাত্রীদের মাস্ক পড়ে আসতে দেখা গেছে। ইমিগ্রেশন ও কাস্টমস তল্লাশি কেন্দ্র ও প্যাসেজ্ঞার টার্মিনালের আশে পাশে বাইরের যে সমস্ত লোকজন ভিড় করছে তাদের মুখে কোন মাস্ক নেই।
বেনাপোল ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ জানান, গত ৭ দিন ধরে স্বাভাবিকের তুলনায় ভারত থেকে বেশি পাসপোর্ট যাত্রী দেশে ফিরছেন। যাত্রীদের সাথে কথা বলে জেনেছেন, করোনা আতঙ্কের কারণে অনেকেই ফিরছেন। সতর্কতা অবলম্বন করে যাত্রীদের সেবা প্রদান করছেন বলে তিনি জানান।
খুলনা গেজেট/ এসজেড