নাগরিক ঐক্যের খুলনা নগর শাখা এর আয়োজক এক সেমিনারের আয়োজন করা হয় । নেতৃবৃন্দ বলেছেন, মাস্ক ব্যবহার হলে ৪০ শতাংশ করোনা প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে। সেই সাথে নেতৃবৃন্দ মাস্ক ব্যবহার আইন কার্যকর ও ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। সেমিনারে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ প্রতিরোধে ১০ দফা সুপারিশ তুলে ধরা হয়। শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় শান্তিধাম মোড় এলাকায় ‘মাস্ক ব্যবহারের শিথিলতা করোনার ঝুঁকি বাড়াবে’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা এ কথা বলেন।
সংগঠনের কেন্দ্রীয় সদস্য ও নগর কমিটির আহ্বায়ক এ্যাড. ড. মো: জাকির হোসেন সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, করোনা মোকাবেলায় সরকার সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় এখনই ব্যবস্থা গ্রহণের সময়। তিনি মাস্কের মূল্য নির্ধারনে মনিটরিং এর দাবি করেন। তিনি খুলনা মেডিকেল কলেজের সিট বাণিজ্য বন্ধের দাবি জানান।
প্রবন্ধ পাঠ করেন দৈনিক কালান্তরের স্টাফ রিপোর্টার এম এন আলী শিপলু। সভাপতিত্ব করেন, কলোরোয়া সরকারি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ প্রফেসর এ মজিদ খান। বক্তৃতা করেন, জেলা পর্যায়ের সংগঠক শেখ জামিরুল ইসলাম, লেখক ও গবেষক ওহিদুজ্জামান সোহাগ ও নাগরিক নারী ঐক্যের অর্পনা দেবনাথ।
প্রবন্ধে উল্লেখ করা হয় গত ৮ মার্চ থেকে ৫ নভেম্বর পর্যন্ত খুলনা জেলায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে ১০৪ জন মারা গেছেন। সুপারিশসমূহ হচেছ, সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মুল) আইন-২০১৮ অনুযায়ী কেউ মাস্ক না পরে বের হলে ৬ মাস জেল অথবা ১ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত আইন কার্যকর করতে হবে, মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করতে সর্বত্র ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করতে হবে, মসজিদের খুৎবায়সহ অন্যান্য ধর্মীয় উপসনালয়ে মাস্ক ব্যবহারের ওপর গুরুত্বারোপ করা প্রয়োজন, সকল অফিস, আদালত, বাজার-ঘাট, চিকিৎসা সেবা কেন্দ্র ও সামাজিক প্রতিষ্ঠানে ‘নো মাস্ক নো সার্ভিস’ এর বাস্তবায়ন করতে হবে, মহানগরীর রাস্তাঘাটে পরিত্যাক্ত মাস্ক দ্রুত অপসারণ করতে হবে, করোনা নিয়ন্ত্রণে প্রান্তিক জনগণ, রাজনীতিক, বুদ্ধিজীবী, জনপ্রতিনিধি ও স্বেচ্ছাসেবকদের শক্তির সমন্বয়কে কাজে লাগাতে হবে, স্বল্প মূল্যে মাস্ক সরবরাহ করতে হবে, গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে ‘নো মাস্ক নো সার্ভিস’ লেখা সম্বলিত পোস্টার সাঁটাতে হবে, প্রতি জেলায় দেড়শ’ জনের জন্য আইসোলেশন সেন্টারের ব্যবস্থা করতে হবে, করোনাকালীন সময়ে কর্মরত স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রণোদনা দ্রুত পরিশোধ করতে হবে, সকল সরকারি হাসপাতালগুলোতে ভেন্টিলেটর ও অক্সিজেন প্লান্ট স্থাপন করতে হবে, খুলনা মহানগরী, বিভিন্ন পৌর ও উপজেলা সদরে জীবাণুনাশক ওষুধ স্প্রে করতে হবে।
সভা শেষে নাগরিক ঐক্যের পক্ষ থেকে শান্তিধাম মোড়ে মাস্কবিহীন পথচারীদের মাস্ক উপহার দেয়া হয়। এছাড়া ভাষা সৈনিক এম নুরুল ইসলাম, জেলা পর্যায়ের সংগঠক শেখ জামিরুল ইসলামের জামাই শেখ জোনায়েদ আলী ও সাবেক ছাত্রনেতা মশিউর রহমান যাদুর পিতা শেখ সেকেন্দার আলী ও এড. তরিকুল ইসলামের পিতা শাহ্ আলম ফকিরের আত্মার মাগফিরাত কামনা করা হয়। সূত্র : খবর বিজ্ঞপ্তি
খুলনা গেজেট/কেএম