গত ২০ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়েছে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিনের চতুর্থ ডোজ প্রদান কার্যক্রম। খুলনায় টিকা গ্রহণে মানুষের আগ্রহ একেবারেই কম দেখা গেছে।
খুলনা সিভিল সার্জনের কার্যালয় থেকে জানা গেছে, খুলনা মহানগরীর ৫টি এবং জেলার ৯টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২০ ডিসেম্বর থেকে টিকা দেওয়া হচ্ছে। করোনার সম্মুখসারির যোদ্ধা, ষাটোর্ধ্ব নানা জটিল রোগে আক্রান্ত এবং অন্তঃসত্ত্বা নারীরা এ টিকা পাবেন। তৃতীয় ডোজ নেওয়ার চার মাস পর নেওয়া যাবে চতুর্থ ডোজ। ৬০ বছরের বেশি বয়সী ব্যক্তি যারা ইতোমধ্যে তৃতীয় ডোজ নিয়েছেন, তাদের এ কর্মসূচির আওতায় টিকা দেওয়া হবে।
সূত্রটি জানায়, গত ২০ দিনে কেন্দ্রগুলোতে প্রায় ১৪ হাজার মানুষের টিকা গ্রহণের কথা ছিলো। কিন্তু গত ৮ দিনে খুলনায় ৭ হাজার ৬৪০ জন করোনা ভ্যাকসিনের চতুর্থ ডোজ গ্রহণ করেছেন। টিকা গ্রহণের ক্ষুদে বার্তা পেয়েও বাকিরা ভ্যাকসিন গ্রহণ করতে যায়নি। খুলনায় বর্তমানে প্রায় ৭৬ হাজার ডোজ টিকা মজুদ রয়েছে।
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, খুলনা জেনারেল (সদর) হাসপাতাল, শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতাল, নেভী হাসপাতাল, পুলিশ হাসপাতাল ও নগর স্বাস্থ্য ভবনে টিকা দেওয়া হচ্ছে।
কেন্দ্রগুলো ঘুরে টিকা কর্মীদের অলস বসে থাকতে দেখা গেছে। অনেকে এসএমএস ও টিকা কার্ড ছাড়াই অনেকে টিকা দিতে আসছেন। তাদেরও টিকা দেওয়া হচ্ছে।
খুলনার সিভিল সার্জন ডা. সুজাত আহমেদ জানান, নানা কারণে মানুষের আগ্রহ কম। টিকা কার্যক্রমে গতি আনতে গণটিকা কার্যক্রম চালানোর পরিকল্পনা চলছে।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ২৭ জানুয়ারি দেশে প্রথমবারের মতো করোনা টিকা দেওয়া শুরু হয়। একই বছরের এপ্রিলে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া শুরু হয়। এরপর চলতি বছরের ১৯ জুলাই বুস্টার ডোজ দেওয়া শুরু হয়। এখন পর্যন্ত ১৪ কোটির বেশি মানুষ প্রথম ডোজ টিকার আওতায় এসেছেন। এ ছাড়া সাড়ে ১২ কোটি মানুষ দ্বিতীয় ডোজ এবং বুস্টার ডোজ পেয়েছেন ৬ কোটির বেশি মানুষ।