খুলনার কয়রা উপজেলার আমাদী ইউনিয়নের নাকসা গ্রামের লোকমান সরদারের বাড়ি হইতে হামিদ সানার বাড়ির অভিমুখে রাস্তার প্রধান সড়কের পাশে সরকারি জমিতে অবৈধ স্থাপনা গড়ে উঠেছে। সে কারণে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে গেছে। অল্প থেকে ভারি বৃষ্টি হলেই পানি বন্দি হয়ে পড়ছে কয়েকশত পরিবার। জলাবদ্ধতা নিরসনে এলাকাবাসীর পক্ষে পল্লী চিকিৎসক মোঃ হারুনুর রশীদ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে গত ৮ অক্টোবর লিখিত অভিযোগ করেন।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, নাকসা গ্রামবাসী সকল প্রকার সুযোগ সুবিধা ভোগ করলেও বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতার কারণে এলাকাবাসী মানবেতর জীবনযাপন করছে। কারণ প্রধান সড়কের দুই পাশের সরকারি জমিতে যে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা রয়েছে তা কতিপয় প্রভাবশালী, দুষ্ট প্রকৃতির লোকজন অবৈধভাবে অপরিকল্পিত স্থাপনা নির্মাণের মাধ্যমে পানি নিষ্কাশনের প্রবাহ বন্ধ হয়ে গেছে। বিশেষ করে লোকমান সরদারের বাড়ি থেকে হামিদ সানার বাড়ির পর্যন্ত প্রধান সড়কের পাশে সরকারি জমিতে অবৈধ স্থাপনার ফলে বর্ষা মৌসুমের নাম মাত্র বৃষ্টি হলেই নাকসা গ্রামের অধিকাংশ ঘর বাড়ি বৃষ্টির পানিতে ডুবে থাকে। গ্রামের মানুষ জলাবদ্ধতার কারণে পানিবাহিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে অসুস্থতায় ভোগে। এই গ্রামে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় একটি আলিয়া মাদ্রাসা আটটি জামে মসজিদ এবং দুইটি হেফজ খানা রয়েছে। সেখানে শত শত শিক্ষার্থী অধ্যায়নরত রয়েছে। বর্ষা মৌসুমে এ সকল শিক্ষার্থীর উপস্থিতি খুবই কম থাকে তার একমাত্র কারণ জলবদ্ধতা । বৃষ্টির পানিতে ডুবে থাকা বাড়ি সমূহের শিক্ষার্থীরা প্রধান সড়কে এসে বিদ্যালয় যাতায়াত করতে পারে না। এই গ্রামের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা পাঠদানে পিছিয়ে পড়ার কারণে লেখাপড়া থেকে ঝরে পড়ার আশংকা থাকে। এরূপ অবস্থা বেশিদিন চলতে থাকলে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা অসম্ভব হয়ে পড়বে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, রাস্তার দুই পাশে অবৈধ স্থাপনা গড়ে ওঠার কারণে পানি নিষ্কাশনের জন্য ড্রেন না থাকায় এই এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে। কবরস্থান ও বসত বাড়িতে হাঁটুর বেশি পানি থাকে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলী বিশ্বাস বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
খুলনা গেজেট/এনএম