’যে জন দিবসে মনের হরষে
জ্বালায় মোমের বাঁতি,
আশুগৃহে দেখিবে আর
নিশিতে প্রদীপ বাঁতি।’
উল্লেখিত কবিতার রচয়িতা ও বাংলা সাহিত্যের অন্যতম নীতি কবি কৃষ্ণ চন্দ্র মজুমদারের আজ (১৩ জানুয়ারী) ১১৪ তম মৃত্যুবার্ষিকী। দিবসটি পালন উপলক্ষে সরকারিভাবে কোন কর্মসূচী গ্রহণ করা না হলেও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন “কবি কৃষ্ণ চন্দ্র মজুমদার ব্লাড ব্যাংক” দিবসটি পালন উপলক্ষে বিস্তারিত কর্মসূচী গ্রহণ করেছে।
কর্মসূচীর মধ্যে রয়েছে কবির স্মৃতির প্রতি সন্মান জানিয়ে তাঁর প্রতিকৃতিতে পুস্পমাল্য অর্পন, আলোচনা সভা, কবিতা আবৃত্তি, রচনা ও চিত্রাংকন প্রতিযোগীতা। এছাড়া কবির জীবনী নিয়ে নির্মিত ডকুমেন্টারি ফিল্ম “কৃষ্ণ চন্দ্র” প্রদর্শন করা হবে। আজ বিকাল ৩ টায় দিঘলিয়া উপজেলার আড়ুয়া উদায়ন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠ প্রাঙ্গণে এ সব কর্মসূচী পালিত হবে।
অনুষ্ঠানে অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকবেন বেসরকারি সংস্থা রুপান্তের নির্বাহী পরিচালক স্বপন গুহ এবং শিক্ষাবিদ অধ্যাপক আনোয়ারুল কাদীর।
কবি কৃষ্ণ চন্দ্র মজুমদার ১৮৩৪ খ্রিষ্টাব্দে খুলনার দিঘলিয়া উপজেলার ঐতিহ্যবাহী সেনহাটি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯০৭ খ্রিষ্টাব্দের ১৩ জানুয়ারী পরলোকগমন করেন।
কবি কৃষ্ণ চন্দ্র মজুমদারের মৃত্যুবার্ষিকী সরকারিভাবে পালনের বিষয়ে মুঠোফোনে কথা হয় দিঘলিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মাহাবুবুল আলমের সংগে তিনি খুলনা গেজেটকে বলেন, এমন একজন গুণী এবং মহৎ ব্যক্তির জন্মবার্ষিকী অবশ্যই সরকারিভাবে পালন করা উচিত। আমি যেহেতু নতুন এ উপজেলায় এসেছি। ইন্সটিটিউট নিয়ে বিবদমান দুই গ্রুপে কিছু জটিলতা আছে। সকল জটিলতার অবসান ঘটিয়ে উনার সম্পর্কে সকল তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করে আগামী বছর থেকে সরকারিভাবে ওনার মৃত্যুবার্ষিকী পালনের উদ্যোগ গ্রহণ করবো ইনশাআল্লাহ।
দীর্ঘদিন ধরে কবি কৃষ্ণ চন্দ্র মজুমদারের স্মৃতি সংরক্ষণের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন দিঘলিয়া প্রেসক্লাবের প্রাক্তন সভাপতি ও দৈনিক পূর্বাঞ্চল পত্রিকার ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি শেখ মনিরুল ইসলাম মুখোফোনে এ প্রতিনিধিকে বলেন, ইতিমধ্যে সেনহাটীতে অবস্থিত “কবি কৃষ্ণ চন্দ্র ইন্সটিটিউট” প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের গেজেটভূক্ত হয়েছে এবং কবির নামে তাঁর জন্মভূমি সেনহাটীতে শিল্পকলা একাডেমির মাধ্যমে “কবি কৃষ্ণ চন্দ্র মজুমদার” সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপনের জন্য ইতিমধ্যে ৬০ শতাংশ জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। স্থানীয়ভাবে কবি “কৃষ্ণ চন্দ্র মজুমদার ইন্সটিটিউট” নিয়ে কিছু জটিলতা আছে। আমরা উনার নামে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন “কবি কৃষ্ণ চন্দ্র মজুমদার ব্লাড ব্যাংক” করেছি । এই সংগঠনের মাধ্যমে আমরা প্রশাসনের সংগে সার্বক্ষনিক যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছি। আশা করি সকল দ্বিধাদ্বন্দ্ব ভূলে এলাকার সবাই একত্রিত হয়ে আগামী বছর উনার ১১৫ তম মৃত্যুবার্ষিকী সরকারীভাবে উদযাপন করতে সক্ষম হবো।
খুলনা গেজেট/এনএম