খুলনা, বাংলাদেশ | ১৯ আষাঢ়, ১৪৩১ | ৩ জুলাই, ২০২৪

Breaking News

  কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে কাভার্ডভ্যান নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে চালক নিহত
  হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সাড়ে ৪ কোটি টাকার স্বর্ণ উদ্ধার

দাফনের ১৭ ঘন্টা পর কিশোরির মরদেহ কবরের উপরে!

নিজস্ব প্রতিবেদক, সাতক্ষীরা

সাতক্ষীরার শ্যামনগরে নিদয়া গ্রামে দাফনের ১৭ ঘন্টা পর এক কিশোরির মরদেহ কবর পাড়ে উঠানো পেয়েছে স্থানীয়রা। এছাড়া কাফনের কাপড়ও কেটে নেওয়া হয়েছে। শুক্রবার (২৭ আগষ্ট) শ্যামনগরে নিদয়া গ্রামে এঘটনা ঘটে। পরে তার মরদেহ আবারো দাফন করা হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক আতঙ্ক ও চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

কৈখালী ইউনিয়নের ৮ নং ইউপি সদস্য অসীম কুমার জানান, নিদয়া গ্রামের খোরশেদ সরদার ও সফুরা দম্পত্তির মেয়ে তানজিলা খাতুন মুন্নি (১৪)। বছর চারেক আগে সফুরা খাতুন একই গ্রামের আনজাম হোসেনের সাথে পূনরায় বিয়ে করেন। মুন্নিও তার মায়ের সাথে আনজামের বাড়িতে থাকতো। পরবর্তীতে মুন্নির ব্রেস্ট ক্যান্সার ধরা পড়ে। ক্যান্সারের তীব্রতা বেড়ে গেলে ৬ মাস আগে মুন্নি মাকে নিয়ে তার বাবা খোরশেদ সরদারের কাছে চলে আসে। এখানে থেকেই সে ক্যান্সারের চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছিল। একপর্যায় বৃহস্পতিবার (২৬ অগষ্ট) সকালে মুন্নি মারা যায়। ওইদিন দুপুরে পারিবারিক কবরস্থানে তার দাফন হয়।

এদিকে শুক্রবার সকালে স্থানীয়রা মুন্নির কবর খোড়া এবং তার মরদেহ বাইরে বের করা দেখতে পায়। এছাড়া কাফনের কাপড় অনেকাংশে ছেড়া দেখতে পায় তারা। এনিয়ে এলাকায় জনসাধারণের মাঝে ব্যাপক ভীতি ও চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। পরে স্থানীয় প্রশাসনকে অবহিত করে পুনরায় একই জায়গায় তার দাফন সম্পন্ন হয়।

কবর থেকে মরদেহটি উপরে উঠানোর সাথে কে বা কারা জড়িত থাকতে পারে এমন প্রশ্নের জবাবে ইউপি সদস্য অসীম কুমার জানান, মুন্নির মা সফুরা খাতুনই মরদেহ তোলার বিষয়ে প্রকাশ্য আনজাম হোসেনকে দায়ি করেছেন।

স্থানীয় আর একটি সূত্র জানায়, অসুস্থ্য মেয়েকে নিয়ে সফুরা খাতুন তার আগের স্বামী খোরশেদ সরদারের বাড়িতে অবস্থান নিয়েছিলেন। আনজাম হোসেনকে সফুরা কথা দিয়েছিলেন, মুন্নি সুস্থ হয়ে উঠলে তাকে নিয়ে তিনি তার বাড়িতে আবার এসে ঘর-সংসার করবেন।

ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে শ্যামনগর থানার এসআই খবিরউদ্দীন জানান, খোরশেদ ও আনজাম হোসেনের মধ্যে স্ত্রী সফুরাকে নিয়ে ব্যাপক বিবাদ ছিল। তবে সেই বিবাদের সাথে মুন্নির মরদেহ উত্তোলনের কি সম্পর্ক থাকতে পারে তা বুঝতে পারছিনা। এনিয়ে এলাকায় ব্যাপক আতঙ্ক ও চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান এসআই খবির।

 

খুলনা গেজেট/এএ




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!