খুলনা, বাংলাদেশ | ১১ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৬ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  কুমিল্লায় ট্রেনের ধাক্কায় অটোরিকশার ৫ যাত্রী নিহত
  মানবতাবিরোধী অপরাধ : চিফ প্রসিকিউটর দেশে না থাকায় ফখরুজ্জামান ও সাত্তারের জামিন শুনানি ২ সপ্তাহ পেছাল আপিল বিভাগ
  আজ থেকে জাতীয় ছাত্র সংহতি সপ্তাহ শুরু
  অ্যান্টিগা টেস্ট: শেষ দিনে বাংলাদেশের দরকার ২২৫ রান, হাতে ৩ উইকেট

কপোতাক্ষ পাড়ের জলাবদ্ধতা দূরীকরণ প্রকল্পের কাজ শুরুর দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক, সাতক্ষীরা

সাতক্ষীরার তালায় অতিদ্রুত টিআরএম চালুসহ কপোতাক্ষ নদেও তীরবর্তী এলাকার জলাবদ্ধতা দূরীকরণ প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ের কার্যক্রম বাস্তবায়নে স্বচ্ছতার দাবী জানিয়েছেন পানি কমিটির নেতৃবৃন্দ।

মঙ্গলবার (৮ মার্চ) বিকালে তালার মোবারকপুর উত্তরণ আইডিআরটিতে পানি কমিটি আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে কমিটির নেতৃবৃন্দ এই দাবি জানান।

তালা উপজেলা পানি কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ময়নুল ইসলাম তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রুত ‘কপোতাক্ষ নদের জলাবদ্ধতা দূরীকরণ প্রকল্পটির প্রথম পর্যায়ের’ কার্যক্রম ২০১৭ সালের জুন মাসে শেষ হয়েছে। এ প্রকল্প বাস্তবায়ন দ্বারা বিশেষ করে তালা উপজেলার পাখিমারা বিলে টিআরএম বাস্তবায়িত হওয়ার কারণে বিশাল কপোতাক্ষ অববাহিকার প্রায় ২০ লক্ষ অধিবাসী সরাসরি উপকৃত হয়েছে। দীর্ঘদিনের জলাবদ্ধতা দূরীভূত হওয়ায় মানুষের জীবন জীবিকা এখন নিরাপদে আছে। এজন্য এলাকাবাসী প্রধানমন্ত্রীর কাছে চির কৃতজ্ঞ।

এদিকে জনগণের কাছে পূর্বের দেয়া প্রতিশ্রুতি ও প্রকল্পের সফলতা রক্ষায় বর্তমান সরকার আবারও প্রকল্পটির ২য় পর্যায় অনুমোদন দেয়। বিগত ২০২০ সালের ১৮ আগষ্ট রাজধানীর শেরেবাংলা নগর এনইসি সভাকক্ষে একনেক চেয়ারপার্সন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় এ প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়। প্রকল্পটির নাম ‘কপোতাক্ষ নদের জলাবদ্ধতা দূরীকরণ প্রকল্প (২য় পর্যায়)’। প্রকল্পটিতে খরচ হবে ৫৩১ কোটি ৭ লাখ টাকা। সরকারি অর্থায়নে ৪ বছর মেয়াদী প্রকল্পটি ২০২০ সালের জুলাই থেকে ২০২৪ সালের জুনের মধ্যে বাস্তবায়ন করা হবে।

ময়নুল ইসলাম বলেন, অনুমোদিত প্রকল্পটিতে কপোতাক্ষ অববাহিকার জলাবদ্ধতা নিরসন কল্পে টিআরএমকে যুক্ত করে কপোতাক্ষ নদ উজান অংশে যশোর জেলার চৌগাছা উপজেলার তাহেরপুর হতে মনিরামপুর উপজেলার চাকলা ব্রীজ পর্যন্ত ৭৫ কিমি. এবং নি¤œাংশে খুলনা জেলার পাইকগাছা উপজেলার বোয়ালিয়া হতে কয়রা উপজেলার আমাদী পর্যন্ত ৩০ কিমি. নদী খনন, তীর প্রতিরক্ষা কাজ বাস্তবায়ন, নিষ্কাশন অবকাঠামো নির্মাণ ও মেরামত করা, কপোতাক্ষ নদের দুই তীরে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ মেরামত করাসহ নদের সাথে সংযুক্ত খাল খনন করা কার্যক্রম অন্তর্ভূক্ত রয়েছে। ইতিমধ্যে সরকার কর্তৃক পলি ব্যবস্থাপনা, টাইডাল প্রিজম বৃদ্ধি ও নিষ্কাশন ক্ষমতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে ৩৫ বছর মেয়াদী জোয়ার-ভাটা নদী ব্যবস্থাপনা (টিআরএম) কার্যক্রম চালানোর এই উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।

তিনি আরো বলেন, একদিকে যেমন টিআরএম চালু করা সম্ভব হয়নি অন্যদিকে পলি জমে নদী আবারও ভরাট হতে শুরু করেছে। বিলের পেরিফেরিয়াল বাঁধও নড়বড়ে ও দুর্বল হয়ে পড়েছে। ক্ষতিপূরণ প্রাপ্তিসহ বিল ব্যবস্থাপনায় দেখা দিয়েছে বিভিন্ন ধরণের চরম বিশৃঙ্খলা। তাই প্রকল্পের ডিজাইন অনুযায়ী কপোতাক্ষ নদ খনন জরুরী হয়ে পড়েছে। কারণ নদে দ্রুত পলি ভরাট হয়ে পুনরায় মৃত্যুমুখে পতিত হচ্ছে। সে কারণে সংস্কার পূর্বক অতিদ্রæত টিআরএম চালু এবং গুরুত্ব দিয়ে সরকারের “অশগ্রহণমূলক পানি ব্যবস্থাপনা নীতিমালা” এর আলোকে উক্ত প্রকল্পের আওতায় দাবীদার ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ প্রদান করা হোক এটাই জনগণের দাবী ।

এমতাবস্তায় কপোতাক্ষ অববাহিকার অধিবাসীদের জীবন-জীবিকা যাতে অব্যাহত থাকে এবং স্বচ্ছতার সাথে কপোতাক্ষ নদের জলাবদ্ধতা দূরীকরণ প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ের কার্যক্রম বাস্তবায়নে জরুরীভাবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জনগণের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড, জনপ্রতিনিধি, প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে পানি কমিটি নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আলাউদ্দীন জোয়ার্দ্দার, উপজেলা পানি কমিটির সাধারণ সম্পাদক মীর জিল্লুর রহমান, পানি কমিটি নেতা শফিকুল ইসলাম, উত্তরণ কর্মকর্তা দিলীপ কুমার সানা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!