খুলনার পাইকগাছা উপজেলার কপিলমুনির গোলাবাটি এলাকায় কপোতাক্ষ নদীতে জেলের জালে উঠে এসেছে বিশালাকৃতির একটি শিবলিঙ্গ মূর্তি।
স্থানীয় নোয়াকাটি এলাকার জগদীশ বিশ্বাস (৬০) কপোতাক্ষের ঐ এলাকায় পাটা জাল পাতলে শুক্রবার রাতে কূলে ঐ মূর্তির মাথা ভেসে উঠলে তিনি সেখান থেকে মূর্তিটি উদ্ধার করে নিজ বাড়িতে নিয়ে যান। পরে শনিবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে স্থানীয়
জনপ্রতিনিধিসহ গণ্যমান্য ব্যাক্তিদের নিয়ে মূর্তিটি পাইকগাছা থানায় জমা দিয়েছেন।
স্থানীয়রা জানান, নোয়াকাটি গ্রামের মৃত সতীশ বিশ্বাসের ছেলে হতদরিদ্র জগদীশ বিশ্বাস জীবিকা নির্বাহের জন্য কপোতাক্ষের বিভিন্ন স্থানে পাটা জাল পেতে মাছ আহরণ করেন। যার ধারাবাহিকতায় শুক্রবার রাতে তিনি গোলাবাটি আশ্রয়ণ প্রকল্প এলাকায় পাটায় মাছ ধরতে গেলে কিছু একটা বস্তুর মাথা একই স্থানে ভাসতে দেখে। এগিয়ে গিয়ে মূর্তিটি আবিষ্কার ও বহু কষ্টে তা উদ্ধার করে নিজ বাড়িতে নিয়ে যান। রাতেই তিনি বিষয়টি স্থানীয়দের মধ্যে জানালে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ভীঁড় বাড়ে তার বাড়িতে মূর্তিটি এক নজর দেখতে।
বিষয়টি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গকে জানালে তারা মূর্তিটি থানায় জমা দেওয়ার পরামর্শ দেন। সে মোতাবেক শনিবার (২০ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে জগদীশ ও তার স্ত্রী অঞ্জনা বিশ্বাস মূর্তিটি থানায় নিয়ে যান।
এব্যাপারে পাইকগাছা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জিয়াউর রহমান জানান, মূর্তিটি থানায় নিলে একটি সাধারণ ডায়েরী করে তা জব্দ করা হয়েছে। তবে তিনি জানান, কেউ বা কারা সপ্তাহ খানেক পূর্বে মূর্তিটির পূজা করে কপোতাক্ষে বিসর্জন দিয়েছে। তারাও থানায় যাচ্ছেন বলে দাবি করেন তিনি।
যদিও স্থানীয়রা জানান, মূর্তিটি কোন মন্দিরে স্থাপন করা ছিল। ইটসহ মূর্তিটি কৌশলে উঠিয়ে সেখানে ফেলা হয়েছে কিংবা বহন করতে না পেরে নদীর পানিতে ডুবিয়ে রাখা হতে পারে। তাছাড়া শিব লিঙ্গ মূর্তির বিসর্জন হয়না বলেও দাবি তাদের।
খুলনা গেজেট/এইচআরডি