খুলনা, বাংলাদেশ | ২৪ আশ্বিন, ১৪৩১ | ৯ অক্টোবর, ২০২৪

Breaking News

  ড. শেখ আব্দুল রশিদকে মন্ত্রিপরিষদ সচিব হিসেবে ২ বছরের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ
  দেশে ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৫ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৯৮১
  ছয় মামলায় সাবের হোসেনের জামিন, কারামুক্তিতে বাধা নেই
  বাংলাদেশী ৫ জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে আরকান আর্মি

ফের কপোতাক্ষের চর ভরাটি জমি দখল

শেখ নাদীর শাহ্,পাইকগাছা

ফের দখল হয়ে যাচ্ছে দক্ষিণ খুলনার অন্যতম প্রধান বাণিজ্যিক কেন্দ্র পাইকগাছার কপিলমুনির প্রাণ কেন্দ্র কপোতাক্ষ তীরবর্তী কোটি টাকা মূল্যের সরকারি জমি। সদরের মাছবাজার সংলগ্ন সরকারি বিস্তীর্ণ চর ভরাটি জমি দখল করে যে যার মত বাঁশের খুঁটি-চাটাই দিয়ে ঘেরা-বেড়া করে দখল নিচ্ছে।

এর কয়েক বছর আগে বাজার উন্নয়নের নামে স্থানীয় ট্রেড ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান বণিক সমিতির ব্যানারে আরসিসি পিলার দিয়ে স্থায়ী দখল প্রক্রিয়া শুরু হয়। তখন বিভিন্ন মিডিয়ায় ব্যাপক লেখা-লেখি ও কপোতাক্ষ খনন শুরু হলে বন্ধ হয়ে যায় দখল প্রক্রিয়া। সময়ের ব্যবধানে বাজার সম্প্রসারণের নামে ফের দখলের চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে কারা করছে এবং কাদের উস্কানি কিংবা সরকারের কোন অনুমতিপত্র আছে কিনা তা জানা সম্ভব হয়নি। সুষ্ঠু বাজার ব্যবস্থাপনায় সার্বিক উন্নয়নের স্বার্থে স্থানীয়রা দখল অপসারণের দাবি জানিয়েছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মাছবাজার ও শহীদ স্মৃতি স্তম্ভ সংলগ্ন কপোতাক্ষ তীরবর্তী সরকারি জমিতে কোন প্রকার অনুমতি বা ছাড়পত্র না নিয়েই প্রভাবশালী চক্র দখল প্রক্রিয়া শুরু করেছে। ইতোমধ্যে তারা সেখানে বাঁশের খুঁটি ও রেলিং দিয়ে পৃথক পৃথকভাবে দখল শুরু করেছেন।

স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, বর্তমান দখলদারদের মধ্যে একজন সাবেক ইউপি সদস্য মো: আব্দুল আজিজ বিশ্বাসের একটি মাছ কাটা (আড়ৎ) ছিল। পরে কপোতাক্ষ খনন ও প্রশাসনের হস্তক্ষেপে সকল দখল উচ্ছেদ হলে তিনিও ভাসমান হয়ে পড়েন। এ ঘটনায় ব্যবসায়ীদের পুণর্বাসনের ব্যবস্থা না করে উচ্ছেদ করা হলে তারা সম্মিলিতভাবে অন্যত্র চলে গিয়ে নতুন মাছ কাটা (আড়ৎ) স্থাপন করেন। এরপর কিছু ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী নতুন কাটায় স্থান না পাওয়ায় কপিলমুনিকে আঁকড়ে থাকেন।

সর্বশেষ কপোতাক্ষ তীরবর্তী সরকারি জমিতে আব্দুল আজিজ মাছের কাটা স্থাপন করলে তাকে দেখে আরো অন্তত ৫ জন পাশের জায়গা দখল নিয়েছেন। এমনকি রাস্তার অপর প্রান্তের সরকারি লাখ লাখ টাকার সম্পত্তিতেও শুরু হয়েছে দখল প্রক্রিয়া। যেকোন সময় ঐসব এলাকাও দখলের আশংকা করছেন স্থানীয়রা।
এব্যাপারে হাট-বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ কওসার আলী জোয়াদ্দার বলেন, বিষয়টি তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানিয়েছেন। তিনি তার সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছেন।

এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, চিহ্নিত জায়গাটি পানি উন্নয়ন বোর্ডের। পাউবো চাইলে তারা পদক্ষেপ নিবেন।




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!