খুলনার পাইকগাছা উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে ঐতিহাসিক কপিলমুনি মুক্ত দিবস পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে কপিলমুনি সহচরী বিদ্যা মন্দির মিলনায়তনে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
পাইকগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মমতাজ বেগমের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, পাইকগাছা উপজেলা চেয়ারম্যান আনোয়ার ইকবাল মন্টু। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, যুদ্ধকালীণ কমান্ডার(বিএলএফ) শেখ শাহাদাৎ হোসেন বাচ্চু, মো: আবুল কালাম আজাদ যুদ্ধকালীণ কমান্ডার ও রাড়–লী ইউপি চেয়ারম্যান, যুদ্ধকালীণ কমান্ডার সুফল চন্দ্র মন্ডল।
বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ জামাল হোসেন ও মোঃ হারুন অর রশীদ এর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাসহ অন্যান্যরা। এরআগে উপজেলা প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা সংগঠন, রাজনৈতিক সংগঠনসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের ব্যানারে স্থানীয় স্মৃতি সৌধে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়।
প্রসঙ্গত, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধকালীণ আজকের দিনে রাজাকারদের সাথে ৪ দিনের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর রাজাকারদের আত্মসমর্পণ ও কপিলমুনি সহচরী বিদ্যা মন্দিরের মাঠে জনতার দাবির মুখে ১৫৫ জন মতান্তরে ১৫১ জন যুদ্ধাপরাধীদের গুলি করে হত্যা করা হয়। আর এর মধ্য দিয়েই পতন হয় দক্ষিণ খুলনার অন্যতম প্রধান রাজাকার ঘাঁটির।
যুদ্ধকালীণ সময়ে (বর্তমানের খুলনা, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরা জেলা) ব্যাপক হত্যাযজ্ঞের ঘটনা ঘটে। এখন পর্যন্ত পাওয়া তথ্যানুযায়ী, খুলনার চুকনগরে অল্প সময়ে অধিক মানুষকে হত্যা করার ঘটনা ঘটে। এরপর খুলনার কপিলমুনিতেও ঘটে হত্যাযজ্ঞ ও নির্যাতনের ঘটনা। সর্বশেষ যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও দন্ড কার্যকর করার ঐতিহাসিক ঘটনাটিও ঘটে কপিলমুনিতেই। ভিয়েতনাম যুদ্ধের পর সম্ভবত বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকালীণ সময়ে যুদ্ধাপরাধীদের তাৎক্ষণিক সাজা দেওয়ার ঘটনা এটাই একক উদাহরণ।
খুলনা গেজেট/ টি আই