যশোরে কনকনে শীতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। তবে দেরিতে হলেও তিনদিন পর রোববার সূর্যের মিলেছে। আর এ কারণে শীতের তীব্রতা কিছুটা কমে এসেছে। কিছুটা হলেও মানুষ রক্ষা পেয়েছে। সকাল থেকে ঘন কুয়াশা হলেও সাড়ে দশটার দিকে কিছুটা রোদ বেরিয়েছে। সেইসাথে উত্তরের হিমেল হাওয়ায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন।
রোববার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা যশোরে রেকর্ড করা হয়েছে ৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শনিবারে তাপমাত্রা ছিল ৮.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামী কয়েক দিন এ তাপমাত্রা বজায় থাকার আভাস দিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ।
যশোর বিমান বাহিনীর আবহাওয়া অধিদপ্তর সাংবাদিকদের কাছে দেয়া তথ্য মতে, গত এক সপ্তাহ ধরে যশোরের তাপমাত্রা নিম্নমুখী। আজ তাপমাত্রা আরো নেমে এসেছে। আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে যশোরে ৭দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কুয়াশাচ্ছান্ন গোটা এলাকা। দৃষ্টি সীমা মাত্র ১০০ মিটার। এতে দিনে গাড়ির হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে।সেই সাথে উত্তরের হিমেল হাওয়ার কারণে শীত অনুভূত হচ্ছে বেশি। এ অবস্থায় চরম দুর্ভোগে সব শ্রেণির মানুষ।
প্রচন্ড ঠান্ডার কারণে বেড়েছে জ্বর, সর্দি ও কাশির রোগ। বিশেষ করে শিশুরা বেশি ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। রোববার হাসপাতালে বেডের থেকে অতিরিক্ত রোগী মেজতে অবস্থান নিয়েছে। এ অবস্থায় শিশুদের গরম কাপড়ে রাখা ও গরম খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।
যশোর বিমান বাহিনীর আবহাওয়া অধিদপ্তর আরও জানিয়েছে, যশোরে শৈতপ্রবাহ বিরাজ করছে এবং আগামী কয়েক দিন এ ধরনের তাপমাত্রা বিরাজ করতে পারে।
যশোর জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার আব্দুল সামাদ জানান, শীতে শিশু ও বৃদ্ধ রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। তাদেরকে যথাযথ চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে ও প্রয়োজনে হাসপাতালে ভর্তি রাখা হচ্ছে।
খুলনা গেজেট/ এসজেড