মহামারী করোনা নিয়ন্ত্রণে কঠোর লকডাউন বাস্তবায়নে খুলনা মহানগরী ও উপজেলা পর্যায়ে শাসকদলের পক্ষ থেকে ওয়ার্ড কমিটি গঠন করা হয়েছে। মহানগরী এলাকায় থানা কমিটি এবং উপজেলা সদরে উপজেলা কমিটি এব্যাপারে প্রশাসনকে সার্বিক সহায়তা দেবে। আক্রান্তদের অক্সিজেন ও এ্যাম্বুলেন্স সরবরাহের ক্ষেত্রে ছাত্রলীগ ও যুবলীগ সহায়তা করবে। আক্রান্তদের বাড়ি হতে কেউ বাইরে না আসার ব্যাপরে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
খুলনা জেলা করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ও প্রতিরোধসহ সার্বিক ব্যবস্থাপনা কমিটির মিটিং-এর সিদ্ধান্তের আলোকে শাসক দল মহানগরী পর্যায়ে ৩৬টি এবং জেলা পর্যায়ে ৬৮টি কমিটি গঠন করেছে। ১ জুলাই থেকে কঠোর লকডাউন বাস্তবায়নে প্রশাসনকে সহায়তা করার জন্য দলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ কর্মীদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন। জেলা প্রশাসনের সভায় ভারত থেকে আগত ব্যক্তিদের করোনা পরীক্ষাসহ কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করতে কেএমপি, জেলা পুলিশ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের অবহিত করা হয়েছে।
মহানগরী আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমডিএ বাবুল রানা খুলনা গেজেটকে জানান, ইতিমধ্যেই ৩৬টি ওয়ার্ড কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির সদস্যরা পাড়ায়-মহল্লায় অহেতুক দলবেধে আড্ডা থেকে বিরত করার জন্য অনুরোধ করছেন। বেলা ২টার পর কাঁচা বাজার খোলা না রাখার অনুরোধ করা হয়েছে। ৭নং ঘাট, ৪নং ঘাট, জেলখানা ঘাট, কাস্টমঘাট ও রূপসা ফেরীঘাটে খেয়া পারাপার বন্ধে ছাত্রলীগ সহায়তা করছে। আক্রান্ত পরিবারকে সরকারি অথবা বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়ার জন্য পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. সুজিত অধিকারী গণমাধ্যমকে বলেছেন, ইউনিয়ন কমিটির সদস্যরা লকডাউনের বিধিনিষেধ সম্পর্কে জনগণকে অবহিত করছেন। জেলার অভ্যন্তরে সাপ্তাহিক হাট ও গরুর হাট বন্ধ করা হয়েছে। তিনি বলেন, ৯ উপজেলায় মাস্ক বিতরণ করা হয়েছে। তার দেয়া তথ্যমতে ২২ জুন থেকে এপর্যন্ত পাইকগাছা, কয়রা, দাকোপ, বটিয়াঘাটা, ডুমুরিয়া, ফুলতলা, দিঘলীয়া ও রূপসা উপজেলায় ২ হাজার পরিবারের মধ্যে ৪ কেজি করে চাল, ১ কেজি করে আলু, ১টি সাবান ও পেয়াজ ত্রাণসামগ্রী হিসেবে বিতরণ করা হয়েছে। কঠোর লকডাউনের মধ্যে নি¤œআয়ের মানুষদের সহযোগীতায় দলের সভানেত্রীর সৌজন্যে জেলা সাধারণ সম্পাদকের ব্যক্তিগত তহবিল থেকে ২ হাজার পরিবারকে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হবে। আগামী বৃহস্পতিবার থেকে পর্যায়ক্রমে ৯ উপজেলায় ত্রাণ পাঠানো হবে। ত্রাণের প্যাকেটে ৪ কেজি করে চাল, ১ কেজি করে আলু, ১টি সাবান ও পেয়াজ থাকবে। তিনি বলেন, ভ্যানচালক, খেয়ামাঝি, বাসের শ্রমিক ও নরসুন্দরদেরও ত্রাণ দেয়া হবে।
খুলনা গেজেট/ টি আই