খুলনা, বাংলাদেশ | ৪ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ | ১৮ মে, ২০২৪

Breaking News

  রাঙামাটিতে সশস্ত্র হামলায় ইউপিডিএফ সদস্যসহ নিহত ২
  সাতক্ষীরার তালায় ধানের ট্রাক উল্টে ২ শ্রমিক নিহত, আহত আরও ১১ জন

ওষুধ সংকটে রামপাল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে

মেহেদী হাসান, রামপাল

রামপাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চলতি অর্থ বছরে ওষুধ সরবরাহ না হওয়ায় তীব্র সংকট সৃষ্টি হয়েছে। ফলে রোগীরা পাচ্ছেন না প্রয়োজনীয় ওষুধ। গত তিন মাস ধরে সরকারিভাবে ওষুধ সরবরাহ না পাওয়ায় কর্মরত চিকিৎসকদের চিকিৎসা দিতে হিমসিম খেতে হচ্ছে। বিশেষ করে ভর্তি হওয়া রোগীদের ভোগান্তি বেড়েছে। প্রান্তিক ও হতদরিদ্র রোগীরা পড়েছেন মহা বিপাকে। চিকিৎসা সেবা ভেঙ্গে পড়ার উপক্রম হয়েছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও প. প. কর্মকর্তা ডাক্তার সুকান্ত কুমার পাল জানান, এ উপজেলায় প্রায় দুই লক্ষ মানুষের বিপরীতে বছরে ইনডোর ও আউট ডোরে প্রায় ৭৫ হাজার থেকে ৭৬ হাজার মানুষ চিকিৎসা নিয়ে থাকেন। এর মধ্যে আউটডোরে প্রায় ৬০ হাজার রোগী প্রাথমিক চিকিৎসা ও তাদের ওষুধ সরবরাহ করা হয়। ইনডোরে প্রায় ১৫/১৬ হাজার রোগীকে ভর্তি রেখে চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হচ্ছে। জনবল সংকট থাকলেও ওষুধ সরবরাহ কম থাকায় চিকিৎসা কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে।

সরকারের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে বাজেটের ৭০ ভাগ অর্থ বরাদ্দ হয়। তার মধ্য থেকে ৭৫ ভাগ ওষুধ সরবরাহ করে ইডিসিএল। চাহিদা অনুযায়ী বাকি ২৫ ভাগ ওষুধ স্থানীয়ভাবে সরবরাহ করা হয়। গত ২০২১-২০২২ অর্থ বছরে স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে বাজেটের যে ওষুধ বরাদ্দ পাওয়া গেছে তা জুন ২০২২ পর্যন্ত চলমান ছিল। নতুন বাজেট বরাদ্দ না আসায় গত জুলাই থেকে আগস্টের এই মাস ধরে ওষুধ সংকট দেখা দেয়। দ্রুত ওষুধ সরবরাহ স্বাভাবিক হবে বলে জানান ওই স্বাস্থ্য কর্মকর্তা।

হাসপাতালে আসা আউট ডোরের রোগী ফয়লাহাটের আসমা, তালবুনিয়া গ্রামের লাবনী ও বাইনতলার বাসিন্দা ইউনুস আলী জানান, হাসপাতালে এসে ডাক্তার দেখিয়েছেন। শুধু প্যারাসিটামল, অ্যান্টাসিড ও আয়রন ট্যাবলেট দিয়েছেন। অন্য ওষুধ বাহির থেকে কিনে নিতে প্রেসক্রিপশন দিয়েছেন।

ইনডোরে ভর্তি থাকা রোগী মাহামুদ জানান, প্রায় সব ঔষধ বাহির থেকে কিনে নিতে হচ্ছে। একই কথা বলেন, বৃদ্ধ আহম্মদ আলী।

আগত রোগীরা বলেন, আমাদের খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র ও উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার একটু সুদৃষ্টি দিলে ওষুধ সংকটের সমাধান সম্ভব। তারা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষসহ সকলের সুদৃষ্টি কামনা করেন।

এ বিষয়ে রামপাল উপজেলা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও মানবাধিকার কমিশনের সদস্য এমএ সবুর রানা বলেন, সরকারী হাসপাতালে যাওয়া রোগীরা যাতে ভোগান্তির শিকার না হয় সে জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরদারি বৃদ্ধি করতে হবে। দ্রুত ওষুধ সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে এবং ওষুধ সরবরাহ ব্যবস্থা সহজীকরণ করতে হবে। প্রয়োজনে স্থানীয় বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক ও জেলা সিভিল সার্জনের সমন্বয়ে কমিটি গঠন করে দ্রুত ওষুধ সরবরাহের ব্যবস্থা করতে হবে।




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!