খুলনা, বাংলাদেশ | ১৫ আষাঢ়, ১৪৩১ | ২৯ জুন, ২০২৪

Breaking News

  চট্টগ্রামে সীতাকুণ্ডে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাস খাদে, উদ্ধারে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিস
  প্যারাগুয়েকে ৪-১ গোলে উড়িয়ে দিলো ব্রাজিল

ঐতিহ্যবাহী ঘানি শিল্পকে আজও বাঁচিয়ে রেখেছেন চুকনগরের দু’পরিবার

ডুমুরিয়া প্রতিনিধি

গ্রাম বাংলার ঐহিত্যবাহী ঘানি শিল্পকে আজও আকঁড়ে ধরে আছে খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার নরনিয়া গ্রামের দুটি পরিবার। আজও তাদের জীবন ও জীবিকার একমাত্র অবলম্বন এই ঘানি শিল্প।

আধুনিক আর ডিজিটাল যন্ত্রপাতির অতল গহব্বরে হারিয়ে যেতে বসেছে আবহমান গ্রাম বাংলার অনেক ঐহিত্যবাহী শিল্প। এই হারিয়ে যাওয়ার ভিড়ে আজও এই ঘানি শিল্পকে আকঁড়ে ধরে জীবিকা নির্বাহ করে চলেছে ডুমুরিয়া আটলিয়া ইউনিয়নের একেবারে সীমান্তবর্তী এলাকা নরনিয়া গ্রারের মৃত ইসমাইল বিশ্বাসের পুত্র আব্দুল গফুর বিশ্বাস ও মৃত বাবর আলী সরদারের পুত্র আব্দুল ওয়াদুদ সরদার। এই ঘানি শিল্পকে ধরে রাখার জন্য অন্য পেশাকে তারা আজও গুরুত্বহীন মনে করেন। এ শিল্প যেন তাদের রক্তের প্রতিটি কণায় মিশে আছে।

তারা বলেন, গরু দিয়ে ঘানি টেনে খাঁটি সরিষার তেল বানানো তাদের পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত একটি পেশা। পূর্বে তাদের দুই পুরুষ এই ঘানির কাজ করে পরিবারের জীবিকা নির্বাহ করেছেন। এ কাজে তাদের স্ত্রী, পুত্র ও কন্যারাও সহযোগীতা করেন। পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত ও পূর্ব পুরুষদের ঐতিহ্য ধরে রাখার জন্য আজও তারা ঘানি শিল্পকে আকঁড়ে পড়ে আছেন। তবে ঘানি শিল্পের সে দিন এখন আর নেই। একাজ করে বর্তমানে জীবিকা নির্বাহ করা কঠিন হয়ে পড়েছে।

নরনিয়া গ্রামের আ’লীগ নেতা মোঃ আফসার হোসেন বলেন, ছোট বেলায় দেখেছি ঘানির খাঁটি সরিষার তেল ক্রয়ের জন্য মানুষ ভোর থেকে এখানে জমায়েত হত। অনেক সময় সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে তেল ক্রয় করত। কিন্তু বর্তমানে আধুনিক যন্ত্রপাতির কারণে গ্রামের ঐতিহ্য ঘানি শিল্প বিলুপ্ত হতে চলেছে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য ও ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক এম এ সালাম বলেন, আমার পিতা এক সময় জমিতে সরিষা রোপণ করতেন। সেই সরিষা আমাদের বাজারে বিক্রয় করার কোন সুযোগ ছিল না। তার আগেই ইসমাইল বিশ্বাস ও বাবর আলী বিশ্বাসরা বাড়ি থেকে ক্রয় করে নিয়ে যেতেন। কারণ তাদের সরিষার তেলের এত চাহিদা ছিল যে তারা সরিষা জোগাড় করে পারতেন না। কিন্তু বর্তমানে এ অবস্থার পরিবর্তন ঘটেছে। ইতি মধ্যে ২/৩ টি পরিবার এ কাজ ছেড়েও দিয়েছেন।

ঐহিত্যবাহী এ শিল্পকে ধরে রাখার জন্য দুটি পরিবারকে তিনি ধন্যবাদ জানান এবং সুস্বাস্থ্য নিয়ে বেঁচে থাকার জন্য সকলকে সরিষার তেল খাওয়ার অনুরোধ করেন।

 

খুলনা গেজেট/এনএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!