করোনা ভাইরাস শনাক্তে খুবি’র (খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়) আরটি-পিসিআর ল্যাব উদ্বোধনের কথা রয়েছে এ মাসেই। যদিও রিয়েল টাইম আরটি-পিসিআর মেশিনের সকল সরঞ্জাম এখনো পৌছায়নি কর্তৃপক্ষের কাছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের সূত্রে জানা যায়, প্রয়োজনীয় সরকারি ক্রয়নীতি অনুসরণ করে টেন্ডার আহবান, পরবর্তীতে তা মূল্যায়ন করে ৪ অক্টোবর, ২০২০ তারিখে সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তির আওতায় নির্ধারিত সময়ের (৫ জানুয়ারি) মধ্যে আরটি-পিসিআর মেশিন সরবরাহ দেয়ার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত সকল সরঞ্জাম আসেনি।
সংশ্লিষ্ট ক্রয় কমিটির সদস্য প্রফেসর ড. আশিষ কুমার দাস খুলনা গেজেটকে বলেন, “আমাদের কেন্দ্রীয় ল্যাবের দুটি কক্ষ সম্পূর্ণ প্রস্তুত পিসিআর মেশিন স্থাপনের জন্য। তবে এখনো প্রায় ২০ শতাংশ সরঞ্জাম আমরা হাতে পাইনি। সকল সরঞ্জাম আসলে দ্রুত সময়ের মধ্যেই মেশিন স্থাপন করে সরকারের কাছে অনুমোদনের জন্য আবেদন করতে পারবো। অনুমোদন পেলে সরকার থেকে ট্রেনিং দেওয়া হবে দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের। তারপর আমরা করোনা টেস্ট শুরু করতে পারবো। জানুয়ারির মধ্যেই ল্যাবটি উদ্বোধন করার পরিকল্পনা রয়েছে আমাদের।”
পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের পরিচালক প্রফেসর ড. উত্তম কুমার মজুমদার খুলনা গেজেটকে জানান, “চুক্তির প্রথম সপ্তাহে মূল মেশিন আমরা হাতে পেয়েছি। তবে আনুষাঙ্গিক অল্প কিছু সরঞ্জাম এখনো এসে পৌছায়নি। সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানকে আমরা ইতিমধ্যে জানিয়েছি, চলতি সপ্তাহের ভিতরে সকল সরঞ্জাম আমরা পাবো বলে তারা আশ্বস্ত করেছে। সকল সরঞ্জাম পেলে এ মাসেই পিসিআর ল্যাবটি উদ্বোধন করা যাবে।”
অত্যাধুনিক আরটি-পিসিআর মেশিনে করোনা ভাইরাস ছাড়াও অন্যান্য ভাইরাস শনাক্ত করা যাবে। এতে করে জেনোমিক্স ল্যাবের অধিনে আরটি-পিসিআর ল্যাবটি শিক্ষার্থীদের গবেষণার কাজে বড় ধরণের সহায়ক হবে। করোনা মহামারী পরিস্থিতি শুরু হলে এই ভাইরাস শনাক্তকরণে প্রয়োজনীয় আরটি-পিসিআর মেশিন ক্রয়ের উদ্যোগ নিয়েছিল খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
খুলনা গেজেট/এমএইচবি/এমএম