২০২১ সালের এসএসসি পরীক্ষার পুন:নিরীক্ষায় ৬০ পত্রের ফল পরিবর্তন হয়েছে। এরমধ্যে জিপিএ-৫ হয়েছে ২০ পত্রে। ফলাফল পুন:নিরীক্ষার জন্য ৬ হাজার ৮৬৩টি পত্রে আবেদন জমা হয় যশোর শিক্ষাবোর্ডে। ব্যাপক সংখ্যক আবেদন জমা হলেও পুন:নিরীক্ষায় ফল পরিবর্তন হয়েছে খুবই সামান্য। শিক্ষাবোর্ড কর্মকর্তারা জানিয়েছেন পরীক্ষকরা যত্ন সহকারে উত্তরপত্র মূল্যায়ন করার কারণে খুব সামান্য ফল পরিবর্তন হয়েছে।
গত বছর যশোর শিক্ষাবোর্ডে এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের পর অনেক শিক্ষার্থী তাতে সন্তুষ্ট হতে পারেনি। এ কারণে ৬ হাজার ৮৬৩টি পত্রের খাতা পুন:নিরীক্ষার আবেদন জমা পড়ে। এরমধ্যে ৬০ পত্রের ফল পরিবর্তন হয়েছে। এই ৬০ পত্রের মধ্যে ফেল করা ১১ পত্রে জিপিএ-৫ হয়েছে। ডি থেকে এ প্লাস হয়েছে একপত্রে। দু’পত্রে বি থেকে এ প্লাস হয়েছে। এ মাইনাস থেকে এ প্লাস হয়েছে চার পত্রে। এবং এ থেকে এ প্লাস হয়েছে ছয় পত্রে।
এছাড়া, ফেল থেকে এ হয়েছে চারপত্রে, ফেল থেকে এ মাইনাস হয়েছে আটপত্রে, ফেল থেকে বি হয়েছে আটপত্রে, ফেল থেকে সি হয়েছে সাতপত্রে, ফেল থেকে ডি হয়েছে দু’ পত্রে, ডি থেকে এ প্লাস হয়েছে একপত্রে, বি থেকে এ প্লাস হয়েছে দু’পত্রে, এ মাইনাস থেকে এ প্লাস হয়েছে চারপত্রে এবং এ থেকে এ প্লাস হয়েছে ছয়পত্রে।
২০২১ সালে যশোর শিক্ষাবোর্ডে ১ লাখ ৭৮ হাজার ৭শ’ ৯৫ জন পরীক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়। এরমধ্যে পাস করে ১ লাখ ৬৬ হাজার ৪শ’ ৩৯ জন। পাসের হার ছিল ৯৩.০৯ শতাংশ। তিন বিষয়ের পরীক্ষা এবং জেএসসির অন্যান্য বিষয়ের নম্বরের ওপর ভিত্তি করে ফল প্রকাশ করা হয় বলে জানিয়েছিলেন পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর মাধব চন্দ্র রুদ্র।
শিক্ষাবোর্ড থেকে পাওয়া পরিসংখ্যান থেকে জানাগেছে, গত বছর সর্বমোট ১৬ হাজার চারশ’ ৬১ জন পরীক্ষার্থী জিপিএ-৫ পায়। এরমধ্যে বিজ্ঞান বিভাগে ১৪ হাজার দুশ’ ২৪, মানবিক বিভাগে এক হাজার তিনশ’ ৬৯ ও বাণিজ্য বিভাগে আটশ’ ৬৮ জন ছিল। ২০২১ সালে তিন বিষয়ে পরীক্ষা গ্রহণ করে শিক্ষামন্ত্রণালয়। বাকি বিষয়গুলোতে জেএসসির ওপর নির্ভর করে ফলাফল নির্ধারণ করা হয়েছে।
গত বছর জিপিএ-৪ থেকে ৫ পায় ৩৯ হাজার একশ’ নয়জন। জিপিএ-৩.৫ থেকে ৪ পায় ২৯ হাজার পাঁচশ’ ২৭ জন, জিপিএ-৩ থেকে ৩.৫ পায় ৩৪ হাজার পাঁচশ’ ৯৪ জন, জিপিএ-২ থেকে ৩ পায় ৪৪ হাজার ৭৯ জন এবং জিপিএ-১ থেকে ২ পায় দু’ হাজার ছয়শ’ ৬৯ জন।
পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ফলাফলের দিক থেকে শীর্ষে ছিল সাতক্ষীরা জেলা। এই জেলায় পাসের হার ছিল ৯৪.৭৬। দ্বিতীয় স্থানে ছিল খুলনা। খুলনার পাসের হার ৯৪.৪৯ ছিল। তৃতীয় অবস্থানে ছিল বাগেরহাট। এছাড়া, চতুর্থ যশোর, প ম চুয়াডাঙ্গা, ষষ্ট নড়াইল, সপ্তম কুষ্টিয়া, অষ্টম মেহেরপুর, নবম ঝিনাইদহ এবং দশম স্থানে ছিল মাগুরা।