খুলনা, বাংলাদেশ | ১১ পৌষ, ১৪৩১ | ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  ময়মনসিংহে ট্রাক-অটোরিকশার সংঘর্ষে একই পরিবারের ৪ জন নিহত
  নিখোঁজের ৪২ ঘণ্টা পর কাপ্তাইয়ের কর্ণফুলী নদী থেকে দুই পর্যটকের মরদেহ উদ্ধার

‘এম নুরুল ইসলামের মৃত্যুতে এক কিংবদন্তীর মহাপ্রস্থান ঘটেছে’

নিজস্ব প্রতিবেদক

খুলনার রাজনীতিতে এক অবিসংবাদিত ব্যাক্তিত্বের নাম এম. নুরুল ইসলাম দাদু ভাই। তিনি খুলনার বিএনপিতে পিতার মর্যাদায় যেমন আসীন ছিলেন, তেমনি আপমার জনসাধারণের কাছে ছিলেন এক নির্ভরযোগ্য অভিভাবক। জীবিতাবস্থায় দাদু ভাই ছিলেন সম্ভবত বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রবীন রাজনীতিবিদ। কিন্তু তার সহজ সরল জীবন তাকে ছোট বড়, ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকলের কাছে অত্যন্ত অপনজন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছিল। দাদু ভাই’র মৃত্যু তাই এক কিংবদন্তীর মহাপ্রস্থান। ছাত্রজীবনে সূচনা থেকেই তিনি ছিলেন মানুষের কল্যাণে ব্রতী হয়ে রাজনীতি ও সমাজসেবায় মনোনিবেশ করেন। গণমানুষের মুক্তির স্বপ্ন নিয়ে প্রগতিশীল রাজনীতিতে যুক্ত হন এম. নুরুল ইসলাম দাদু ভাই। মজলুম জননেতা মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ এবং বিশ্বস্ত সহচর ছিলেন দাদু ভাই। ৫২’র ভাষা আন্দোলনে সক্রিয় ভুমিকায় নিজেকে সমুজ্জ্বল করেন তরুণ এম. নুরুল ইসলাম।

৬ দশকেরও উর্ধ্বে রাজনীতির এই পথ চলায় তিনি প্রজম্ম থেকে প্রজম্মে নিজেকে উদভাসিত রেখেছেন স্বমহিমায়। দীর্ঘ এই পথপরিক্রমার দাদু ভাই ইতহাসের সকল বাঁকে বাঁকে নিজেকে নিয়োজিত করেছিলেন। তিনি ছিলেন সর্বদা জনতার পক্ষে, গণতন্ত্রের পক্ষে, প্রগতির পক্ষে মুক্তির স্লোগানে স্বৈরাচার-দুরাচারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহে-বিপ্লবে। তার চারিত্রিক দৃঢ়তা অন্যায়ের বিরুদ্ধে আপোসহীন সংগ্রামে গৌরবোজ্জল ভুমিকা আজকের তরুণ প্রজম্মের জন্য অনুকরণীয়। মানুষের অধিকার আদায়ে জীবনে বহুবার জেল-জুলুমের নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। মৃত্যুভয় জয় করে তার পথচলা ছিল সংসপ্তকের ন্যায়। বিএনপি গঠনের একেবারে সূচনাতেই শহীদ জিয়ার আহবান্তে জাতীয়তাবাদী রাজনীতির হাল ধরেন খুলনাতে। আজীবন সে আদর্শে তিনি ছিলেন অবিচল। দেশনেত্রী বেগম ভালেদা জিয়ারও দারুন আস্থাভাজন ব্যক্তিত্ব ছিলেন দাদু ভাই। ভোজন রসিক স্মার্ট রাজনৈতীক কর্মি হিসেবে ৭০’র দশকে দাদু ভাই অপ্রতিদ্বন্দ্বী এক অসাধারণ অসম্প্রদায়িক চেতনার মানুষ ছিলেন এম. নুরুল ইসলাম দাদু ভাই। খুলনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য থাকাকলীন খুলনা উন্নয়নেরর প্রশ্নে তিনি ছিলেন অগ্রগামী। চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলনে যতদিন শারীরিক ভাবে সুস্থ ছিলেন ততদিন তিনে কর্মীদের উৎসাহ দিতে দলীয় কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করতেন। ৬নং কে ডি ঘোষ রোডস্থ এই দলীয় কার্যালয় শহীদ রাস্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের উপস্থিতিতে দাদু ভাইয়ের নেতৃত্বে উদ্বোধন করা হয়। বিএনপি চেয়ার পার্সনের উপদেষ্টা, খুলনা মহানগর বিএনপির প্রতিষ্ঠিতাকীলন সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য ভাষা সৈনিক মরহুম এম নুরুল ইসলাম দাদু ভাইয়ের আত্মার মাগফেরাত কামনায় আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন নেতৃবৃন্দ।

শুক্রবার (২৩ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৪টায় নগর বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জুর সভাপতিত্বে দলীয় কার্যালয়ে এ আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এম নুরুল ইসলাম দাদু ভাইয়ের মৃত্যুর কারণে খুলনা বিএনপির গৃহিত ৩ দিনের কর্মসূচির দ্বিতীয় দিনে বাদ জুম্মা সকল ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন এলাকার মসজিদসমুহে দাদু ভাইয়ের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া হয়।

এছাড়া বাদ জুম্মা দাদু ভাইয়ের পরিবারের পক্ষ থেকে নগরীর বাবু খান রোডস্থ বায়তুস সালাম কমপ্লেক্সে তার জন্য দোয়া হয়। দোয়া পরিচালনা করেন মাওলানা মোস্তাফিজুর রহমান। এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট শফিকুল আলম মনা, সাধারণ সম্পাদক আমীর এজাজ খান, জাফরউল্লাহ খান সাচ্চু, সিরাজুল ইসলাম, অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম, শেখ আব্দুর রশিদ, খুলনা প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. সাহেব আলী, খেলাফত মজলিস বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা নাসির উদ্দিন, শামসুজ্জামান চঞ্চল, সাইমুন ইসলাম রাজ্জাক এবং দাদু ভাইয়ের দু’ছেলে আরিফুল ইসলাম ও মনিরুল ইসলাম।

দলীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাড. শফিকুল আলম মনা, নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনি, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আমীর এজাজ খান, এড. গাজী আব্দুল বারী, শেখ মোশাররফ হোসেন, এড. বজলুর রহমান, এড. ফজলে হালিম লিটন, স ম আব্দুর রহমান, অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম, মনিরুজ্জামান মন্টু, শেখ আব্দুর রশিদ, অধ্যাপক মনিরুল হক বাবুল, এড. শফিকুল ইসলাম জোয়াদ্দার খোকন, মোল্লা খায়রুল ইসলাম, আবু হোসেন বাবু, সিরাজুল হক নান্নু, কামরুজ্জামান টুকু, এড. মোমরেজুল ইসলাম, শহিদুল আলম, মেহেদী হাসান দীপু, মহিবুল্লাহ কচি, এড. মাসুদ হোসেন রনি, শাহিনুল ইসলাম পাখি, ইকবাল হোসেন খোকন, জালু মিয়া, এড. গোলাম মাওলা, চৌধুরী আব্দুর সবুর, নিজামউর রহমান লালু, শাহাজাহান, ইউসুফ হারুন মজনু, সাজ্জাদ আহসান পরাগ, মুর্শিদ কামাল, হাসানুর রশিদ মিরাজ, নাজমুস সাকিব পিন্টু, শামসুজ্জামান চঞ্চল, শরিফুল ইসলাম বাবু, নাজির উদ্দিন নান্নু, ইমাম হোসেন, ওয়ামদ্দীন সান্টু, এনামুল হাসান ডায়মন্ড, ইশহাক তালুকদার, শাহাবুদ্দিন মন্টু, গোলাম কিবরিয়া, জসিম উদ্দিন লাবু, লিটন খান, মহিউদ্দিন টারজান, ইমতিয়াজ আলম বাবু, মোল্যা ফরিদ আহমেদ, তৌহিদুজ্জামান খোকন, ম শ আলম, মোস্তফা কামাল, এড. ফরাদ আব্বাস, আব্দুল আলিম, সাইমুন ইসলাম রাজ্জাক, কাজী মাহমুদ আলি, শফিকুল ইসলাম বাদল, এড. খালিদ হাসান জনি, কাজী ফজলুল কবির টিটু, শামসুল বারী পান্না, রাহাত আলি লাচ্চু, মোল্যা কবির হোসেন, হেমায়েত হোসেন, কাজী নজরুল ইসলাম, সিরাজুল ইসলাম লিটন, ডা. ফারুক হোসেন, জাহাঙ্গীর হোসেন, জামাল উদ্দিন মোড়ল, জিএম মঈন উদ্দিন, শাকিল আহমেদ, নুরুল ইসলাম লিটন, শফিকুল ইসলাম শাহিন, জাবীর আলি, শফিকুল ইসলাম মিঠু, মিসেস মনি প্রমুখ। সূত্র : খবর বিজ্ঞপ্তি।

 

খুলনা গেজেট / এমএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!