খুলনা, বাংলাদেশ | ৬ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ | ২০ মে, ২০২৪

Breaking News

  ইরানের প্রেসিডেন্ট রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত : রয়টার্স; জীবিত কারও সন্ধান মেলেনি : রেড ক্রিসেন্ট

‘এমভি আবদুল্লাহ’ যেভাবে জলদস্যুর কবলে পড়ল

গেজেট ডেস্ক

ভারত মহাসাগরে ‘এমভি আবদুল্লাহ’ নামে বাংলাদেশের পতাকাবাহী একটি জাহাজ সোমালিয়ার জলদস্যুর কবলে পড়েছে। জাহাজে থাকা ২৩ নাবিক ও ক্রুকে জিম্মি করে ফেলেছে দস্যুরা। জাহাজটি কয়লা নিয়ে আফ্রিকার দেশ মোজাম্বিক থেকে দুবাইয়ের দিকে যাচ্ছিল। জলদস্যুরা নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার পর জাহাজটি মোজাম্বিকের কাছাকাছি অবস্থান করছে বলে জানা গেছে।

জাহাজটির মালিক বাংলাদেশের কেএসআরএম গ্রুপ। মঙ্গলবার দুপুর ১টায় জাহাজটি জলদস্যুদের কবলে পড়ার খবর জানতে পারে মালিকাধীন প্রতিষ্ঠান।

কেএসআরএম গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেরুল করিম বলেন, ‘জলদস্যুদের কবলে পড়া জাহাজটিতে ২৩ জন নাবিক ও ক্রু রয়েছেন। ঘটনার পর তারা আমাদের মেসেজ দিয়েছে। তারা জিম্মি থাকলেও নিরাপদে আছেন। জাহাজটি মোজাম্বিক থেকে কয়লা নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাচ্ছিল। পথে ভারত মহাসাগরে এটি জলদস্যুদের কবলে পড়ে।’

বিবিসি বাংলা এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ভারত মহাসাগর দিয়ে যাওয়ার সময় দুপুরের দিকে হঠাৎ ছোট ছোট বোট নিয়ে জাহাজের দিকে চলে আসে সোমালিয়ান জলদস্যুরা।

এ সময় জাহাজে থাকা একজন ক্রু ওই মুহূর্তের একটি ভিডিও ধারণ করেন। ভিডিওতে দেখা যায়, ছোট ছোট নৌকায় করে জাহাজটিতে ওঠার চেষ্টা করে জলদস্যুরা।

জলদস্যুরা জাহাজটিতে ওঠার সময় তাদের হাতে বন্দুক ছিল বলেও দেখা যায় ভিডিওটিতে। জাহাজে ওঠার পরই সবাইকে জিম্মি করে ফেলে জলদস্যুরা।

জাহাজের মালিকপক্ষ জানিয়েছে, জাহাজটিতে ক্যাপ্টেন ছিলেন আবদুর রশিদ।

জলদস্যুরা জাহাজের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পরই মঙ্গলবার দুপুর দেড়টার দিকে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে মালিক প্রতিষ্ঠানকে একটি বার্তা পাঠান জাহাজের একজন নাবিক। এতে জানানো হয়, জলদস্যুরা জাহাজ দখল করে নিয়েছে। নাবিকেরা আটকা পড়েছেন। আমরা বিস্তারিত জানার চেষ্টা করছি।

নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, এখন পর্যন্ত কী কারণে, কেন তারা এই জাহাজটিকে জিম্মি করেছে বা তাদের দখলে নিয়েছে, তাদের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য জানতে পারিনি। তবে মেরিটাইম সেক্টরে আমাদের যতগুলো চ্যানেল আছে সবগুলো চ্যানেল দিয়ে আমরা যোগাযোগ করার চেষ্টা করছি।

কেএসআরএম গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেরুল করিম বলেন, জলদস্যুদের পক্ষ থেকে আমাদের সঙ্গে এখনও সরাসরি কোনো যোগাযোগ করা হয়নি।

তিনি আরও বলেন, এখন পর্যন্ত জাহাজে থাকা নাবিক ও ক্রুদের মোবাইন সিজ করেনি দস্যুরা। ক্রুদের কাছ থেকে তাদের সর্বশেষ পরিস্থিতি জানতে পারছি। এখন পর্যন্ত সব ঠিকঠাক আছে বলে জানিয়েছে। তবে মাঝেমধ্যে তারা একটু ডিস্টার্বও করছে।

জলদস্যুর কবলে পড়া ‘গোল্ডেন হক’ নামের ওই জাহাজটি কেএসআরএম গ্রুপের বহরে যুক্ত হওয়ার পরে এর নাম দেওয়া হয় ‘এমভি আবদুল্লাহ’। গত বছর জাহাজটি সংগ্রহ করে সাধারণ পণ্য পরিবহন করতে থাকে কেএসআরএম গ্রুপ। ২০১৬ সালে তৈরি হওয়া জাহাজটি লম্বায় ১৯০ মিটার।

প্রসঙ্গত, ২০১১ সালে একই মালিকের ‘এমভি জাহান মনি’ নামের আরেকটি জাহাজ আটক করে সব নাবিক ও ক্রুকে জিম্মি করে সোমালিয়ান জলদস্যুরা।

 

খুলনা গেজেট/এইচ




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!