নগরীর বয়রা এলাকার সন্তান। ১৯৩৯ সালের ৯ নভেম্বর নওয়াপাড়ায় নানা বাড়ীতে জন্মগ্রহণ করেন। জীবনের অধিকাংশ সময় সাউথ সেন্ট্রাল রোড ও সামছুর রহমান রোডে কাটিয়েছেন। শেখ মোঃ ইউনুস তার পিতা, ফাতেমা বেগম তার মা। ১৯৫৬ সালে জিলা স্কুল থেকে ম্যাট্রিক, ১৯৫৯ সালে বিএল কলেজ থেকে আইএ, ১৯৬১ সালে একই কলেজ থেকে বিএ ও ১৯৬৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন ডিগ্রী লাভ করেন। ১৯৬৬ সালে আওয়ামী লীগে যোগ দেন। মুক্তিযুদ্ধে প্রতিরোধ সংগ্রামে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন।
১৯৬৭ সালে খুলনা শহর আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক, ১৯৮২ থেকে ২০০৩ পর্যন্ত মহানগর শাখার সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৫২ সালে জিলা স্কুলে সপ্তম শ্রেণিতে পড়াকালীন ভাষা আন্দোলনে সক্রিয় ভুমিক পালন করেন। (অধ্যক্ষ জাফর ইমামের স্মৃতিচারণ)। ১৯৯৫ সালে খুলনা সেন্ট্রাল ল কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ। ১৯৯৬-৯৮ জাতীয় সমবায় ব্যাংকে ডাইরেক্টর, ল্যান্ড মর্টগেজ ব্যাংকে চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড এন্ড সার্ভিস ট্রাস্টের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।
আওয়ামী লীগের মনোনয়নে ১৯৯১, ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে খুলনা-২ আসনে সংসদ সদস্য প্রার্থী ছিলেন। ২০০৩ সালের ২৫ আগস্ট বাসভবনের অদুরে দূবৃত্তদের গুলিতে নিহত হন। মেহেরুননেছা তার স্ত্রী।
গতকাল সদর থানা আওয়ামীলীগের উদ্যোগে দলীয় কার্যালয়ে এড. মঞ্জুরুল ইমামের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। নগর পিতা ও নগর আওয়ামীলীগের সভাপতি তালুকদার আব্দুল খালেক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন। সভাপতিত্ব করেন সদর থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি মোঃ সাইফুল ইসলাম।
প্রয়াত এই রাজনীতিবিদের স্মরণে আজ বুধবার নগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে দলীয় কার্যালয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।