খুলনা মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেছেন, ‘বিএনপির প্রতিটি নেতা-কর্মী থেকে শুরু করে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া পর্যন্ত এক এগারোর নির্মম রোষানলে পড়েছিলেন। তাঁকে নির্মমভাবে হত্যা করার চেষ্টা করা হয়েছে। দ্রুত নির্বাচনের ব্যবস্থা না হলে দেশ কোনো দিন গণতন্ত্রের চেহারা দেখবে না। এক এগারোর ভয়াবহ পরিণতি বিএনপির চেয়ে বেশি কেউ ভোগ করেনি।’
শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) সোনাডাঙ্গা থানা বিএনপির কার্যালয়ে আরাফাত রহমান কোকোর ১০ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, আরাফাত রহমান কোকোর জন্ম ১৯৬৯ সালে ঢাকায়। তিনি ঢাকার বিএফ শাহীন কলেজে লেখাপড়া করেন। ১৯৬৯ সালে জিয়াউর রহমান সপরিবারে ঢাকায় চলে এলে কিছুদিন জয়দেবপুরে থাকার পর বাবার চাকরির সুবাদে চট্টগ্রামের ষোলশহর এলাকায় বাস করেন। ২০০৩ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ছিলেন কোকো। এ ছাড়া ওল্ড ডিওএইচএস ক্লাবের চেয়ারম্যান ছিলেন। ২০০৭ সালে জরুরি অবস্থা জারির মাধ্যমে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতায় আসে। ওই বছরের ৩ সেপ্টেম্বর ভোরে সেনানিবাসের বাড়ি থেকে মা খালেদা জিয়ার সঙ্গে গ্রেফতার হন কোকো। ২০০৮ সালের ১৮ জুলাই চিকিৎসার জন্য সপরিবারে ব্যাংককে যান তিনি। চিকিৎসা শেষে মালয়েশিয়ায় চলে যান এবং সেখানেই সপরিবারে বসবাস করে আসছিলেন মৃত্যুর আগ পর্যন্ত। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী শর্মিলা রহমান তাবাসুম, দুই মেয়ে জাফিয়া রহমান ও জাহিয়া রহমানকে রেখে যান।
খুলনা মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক ও সাবেক মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মনিরুজ্জামান মনি’র সভাপতিত্বে এবং আসাদুজ্জামান মুরাদের পরিচালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন এবং উপস্থিত ছিলেন শেখ মোশাররফ হোসেন, এড. ফজলে হালিম লিটন, অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম, অধ্যাপক আরিফুজ্জামান অপু, নজরুল ইসলাম বাবু, ইকবাল হোসেন খোকন, আনোয়ার হোসেন, সাদিকুর রহমান সবুজ, ইউসুফ হারুন মজনু, নিয়াজ আহমেদ তুহিন, শামসুজ্জামান চঞ্চল, কামরান হাসান, হাসান মেহেদী রিজভী, কাজী শফিকুল ইসলাম শফি, জামিরুল ইসলাম জামিল, ইশহাক তালুকদার, তরিকুল্লাহ খান, আকরাম হোসেন খোকন, মাহবুব হোসেন, আব্দুল জলিল হাওলাদার, হুমায়ুন কবির বাবুল, মেজবাহ উদ্দিন মিজু, রফিকুল ইসলাম শুকুর, কাজী ফজলুল কবির টিটো, মিজানুজ্জামান তাজ, ইকবাল হোসেন, আব্দুল হাকিম, লিটু পাটোয়ারী, মনিরুজ্জামান মনির, আলমগীর হোসেন আলম, নুরুল ইসলাম লিটন, সাইমুন ইসলাম রাজ্জাক, আলমগীর ব্যাপারী, মাসুদ রেজা, মোল্লা আলী আহমেদ, মোস্তফা জামান মিন্টু, শামীম খান, শাকিল আহমেদ, মাহমুদ হাসান মুন্না, আলম হাওলাদার, কবির হোসেন, সাখাওয়াত হোসেন, কামরুল বিশ্বাস, আবুল বাশার, কামরুল আলম খোকন, শাহেজুদ্দীন, হুমায়ুন কবির, সেলিম বড় মিয়া, মারুফুর রহমান, পারভেজ মোড়ল, কবির বিশ্বাস, টিপু হাওলাদার, শামসুল আলম বাদল, আসাদুজ্জামান সানা, জাহাঙ্গীর হানিফ, এজাজ খান, সৈয়দ গাজী, খালেক গাজী, ইউনুচ শেখ, মনিরুজ্জামান বাবু, সিরাজুল ইসলাম বাবলু, এনামুল কবির, শামীম রেজা, হেলাল চৌধুরী, জুয়েল রহমান, সোহেল খন্দকার, পিএম শহিদ, সিরাজুল ইসলাম সিরাজ, শহিদুল ইসলাম, ফারুক হোসেন, এসএম হোসেন সজল, ওহাব শরীফ, আব্দুল আজিজ ডাবলু, সাইজুউদ্দীন সাজু, ইকবাল ফকির, ফারুক হোসেন, সাইফুল ইসলাম, সজল আকন নাসির, আমীর হোসেন, হারুন মোল্লা, কামাল হোসেন, আবু মাস্টার, মনিরুল হুদা লিটন, রুহুল আমিন রাসেল, এনামুল কবির, জামাল হোসেন, জীবন মীর, শাহনেওয়াজ, রাজু আহমেদ, ডা. রবিউল ইসলাম, নফর গাজী, আমজাদ হোসেন প্রমুখ।
খুলনা গেজেট/ টিএ