বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে এবারের একুশের অনুষ্ঠানমালায় ভাষা আন্দোলনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদানের বিষয়টি খুলনায় প্রাধান্য পাবে। খুলনা বিভাগীয় সরকারি গণগ্রন্থাগারে এ বিষয়ে আলোচনার আয়োজন করা হবে। সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় এ নির্দেশনা দিয়েছে।
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর কারণে এবারের একুশে ফেব্রুয়ারি ভিন্ন মাত্রায় উদযাপিত হবে। জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতসহ অন্যান্য অনুষ্ঠানাদিতে গুরুত্ব দিতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করতে হবে। মাস্ক ছাড়া শহীদ মিনারে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মোহাম্মদ মিজানুর রহমান ছিদ্দিকী গত ২৪ জানুয়ারি জেলা প্রশাসন, বিভাগীয় গ্রন্থগার ও জেলা গ্রন্থাগারে পাঠানো নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়েছে, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর বিশেষ অবদানের বিষয়টি একুশের অনুষ্ঠানমালায় প্রাধান্য দিতে হবে। সে আলোকে বিভাগীয় গণগ্রন্থাগারে এমন অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে বলা হয়েছে।
সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একুশের অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধাঞ্জলির ক্ষেত্রে শহীদ মিনারে পাঁচজনের বেশি প্রতিনিধি এবং ব্যক্তি পর্যায়ে দুইজনের বেশি ব্যক্তিকে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করতে দেয়া হবে না। কোনও ধরণের নাশকতা এড়াতে এবং গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করতে কেএমপিকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
খুলনা বিভাগীয় সরকারি গণগ্রন্থাগারের উপ-পরিচালক ড. মো. আহছান উল্লাহ খুলনা গেজেটকে জানান, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের এমন নিদের্শনা এখনও পৌঁছায়নি। নির্দেশনার চিঠি পেলে একুশের অনুষ্ঠানে এ ধরণের আয়োজন করা হবে। ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর অবদানের বিষয়টি অবশ্যই প্রাধান্য দেয়া হবে।
উল্লেখ্য, ১৯৪৮ সালের ৮ মার্চ বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনকে বেগবান করতে পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম ছাত্রলীগের সদস্য হিসেবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দৌলতপুর বিএল একাডেমিতে ছাত্র সভায় বক্তৃতা করেন (অসমাপ্ত আত্মজীবনী)। দৈনিক ইত্তেহাদের ১৯৪৮ সালের ১১ ডিসেম্বর দৌলতপুর কলেজে ছাত্রসভা শিরোনামে সংবাদ ছাপা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ১ ডিসেম্বর পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম ছাত্রলীগের খুলনা শহর শাখার আহবানে দৌলতপুর বিএল একাডেমির ৬নং কক্ষে এক ছাত্রসভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সভার পূর্বে পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সদস্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বরিশালের কেএম আরসেদ আলী দৌলতপুর এসে পৌঁছালে ছাত্ররা তাদেরকে সংবর্ধনা জানায়। বক্তৃতায় বঙ্গবন্ধু ভাষা আন্দোলনের পক্ষে জনমত সৃষ্টির জন্য ছাত্র সমাজের প্রতি আহবান জানান।
খুলনা গেজেট / এমএম / এআর