সাতক্ষীরার তালা উপজেলার পল্লীতে একদিনে দুই কিশোরীর বাল্যবিবাহ বন্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এ সময় এক কিশোরীর মাকে ৫ হাজার টাকা এবং বাল্যবিবাহের আয়োজনে সহযোগিতার জন্যে শেখ মোঃ কামাল উদ্দীন নামের আরেক ব্যক্তিকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত। বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) বিকালে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও তালা উপজেলা নির্বাহী অফিসার আফিয়া শারমিন পৃথকভাবে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে এই রায় ঘোষণা করেন।
তালা উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নাজমুন নাহার জানান, বৃহস্পতিবার তালা সদর ইউনিয়নের মুড়াকালিয়া গ্রামে দশম শ্রেণির এক ছাত্রীর বিয়ে আয়োজন চলছিল। এ সময় মহিলা বিষয়ক অফিসের আবৃত্তি শিক্ষক আসাদুল ইসলাম ও ভিডব্লিউবি প্রশিক্ষক রাজিবুল ইসলাম সেখানে হাজির হয়। রান্নার কাজও শেষ পর্যায়ে ছিল। এসময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও তালা উপজেলা নির্বাহী অফিসার আফিয়া শারমিন। প্রসিকিউশন দেন মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নাজমুন নাহার।
তালা থানার এসআই রাজিবের নেতৃত্ব পুলিশের একটি টিম সেখানে উপস্থিত ছিলেন। এ সময় বাল্যবিবাহের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি, মেয়ের মায়ের মুচলেকা গ্রহণসহ তাকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা এবং বাল্যবিবাহের আয়োজনে সহযোগিতার জন্যে শেখ মোঃ কামাল উদ্দীন নামের আরেক ব্যক্তিকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করে ভ্রাম্যমান আদালত। পরবর্তীতে রান্না করা পাঁচ হাড়ি খাবার পাশ্ববর্তী এতিমখানায় পাঠানো হয়।
এদিকে একইদিনে উপজেলার কুমিরা গ্রামে এক কিশোরীর বাল্যবিবাহ বন্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এ সময় ঐ কিশোরীর পিতা মুচলেকা দিয়েছেন। কুমিরা ইউনিয়ন কিশোর-কিশোরী ক্লাবের সংগীত শিক্ষক শম্পা ভট্টাচার্য ও আবৃত্তি শিক্ষক আনিছা খাতুন উক্ত কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন।
তালা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আফিয়া শারমিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
খুলনা গেজেট/এমএম